বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গাবতলীতে আগাম আউশ ধান কাটা শুরুঃ কৃষকের মুখে হাসি

গাবতলীতে আগাম আউশ ধান কাটা শুরুঃ কৃষকের মুখে হাসি

বগুড়ার গাবতলীতে আগাম আউশ ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলে কৃষকদের মুখে হাসি ও আনন্দ বইছে। কিছু দিন আগেই ইরি-বোর ধান কাটা শেষ হয়েছে।

আর প্রকৃত ও আদর্শ কৃষকরা অলস সময় পার না করে নিজ পরিবার এবং দেশের উন্নয়নে কৃষি অফিসের পরামর্শে জমি ফাঁকা না রেখে সব সময়ই ফসল বা আবাদ উৎপাদন করা কাজে ব্যস্ত হয়ে থাকেন।

এমন ধরনের প্রকৃত ও আদর্শ কৃষকদের মধ্যে গতকাল সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া গেল উপজেলার রামেশ^রপুর ইউনিয়নের সাতচুয়া গ্রামের কৃষক রেজাউন নবী আলমগীরকে। তিনি তাঁর নিজস্ব ৪০শতক জমিতে আগাম আউশ ধান রোপন করে গতকাল মাঠ থেকে কেটে নিয়ে ঘরে তুলছেন।

এ সময় তাঁর কাছে থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি (আলমগীর) বলেন, আমি বছরের সব সময় ফসল উৎপাদনের জন্য কাজ করি। কোন সময় জমি ফাঁকা রাখি না। তিনি (আলমগীর) আরো বলেন, আগাম আউশ ধান (ব্রি ধান-৬৫) মোট একশত দিনের মাথায় হয়।

এর মধ্যে বীজ বপন করে ২৪দিন এবং বীজতলা থেকে চারা রোপন করার ৭৬দিন পর এই ধান কেটে ঘরে তোলা যায়। তিনি বলেন, এই ৪০শতক জমিতে সরিষা করে ছিলাম। তার পর ইরি-বোর ধান কাটার পর পরই আগাম আউশ ধান রোপন করি।

এভাবেই সব সময় ফসল ফলানো হয়। কৃষক রেজাউন নবী আলমগীর অন্যান্য জমিতে পোটল, মরিচ, বটবটিসহ বিভিন্ন সবজি চাষও করে থাকেন। এ ছাড়া পুকুরে মৎস্য চাষ তো আছেই। তিনি ধান রোপন, সবজি ও মৎস্য চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। এতে তাঁর নিজের এবং দেশের উপকার হচ্ছে।

তুলনা মূলকভাবে কৃষি ও মৎস্য অফিস থেকে তিনি তেমন কোন সহযোগিতা পান না। তাই ঋনসহ তাঁকে (আলমগীর) নানাভাবে সহযোগিতা করলে তাঁর আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে।

রেজাউন নবী আলমগীর একজন আদর্শ কৃষক হলেও সমাজসেবা কাজেও তাঁর অবদান রয়েছে। মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করা, অনেক রোগী ও ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা-পড়ার খরচ চালিয়ে থাকেন।

তিনি বর্তমানেও স্থানীয় রামেশ^রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এ ব্যাপারে গাবতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদী হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখন কিছু আগাম আউশ খান কাটা হচ্ছে। তবে আর কিছু দিনের মধ্যে পুরোদমে আউশ ধান কাটা মাড়াই শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, গাবতলীতে এবার আউশ ধান বেশ ভালই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দৈনিক বগুড়া