বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর নিবিড় মনিটরিংয়ে কমেছে সমন্বয়হীনতা

প্রধানমন্ত্রীর নিবিড় মনিটরিংয়ে কমেছে সমন্বয়হীনতা

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবেলায় নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপ ক্লোজলি মিনিটরিং করছেন এবং নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে।

নানা সীমাবদ্ধতা থাকার পরও শেখ হাসিনার সরকার সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা ও মানুষের সুরক্ষায় দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছে। দিন দিন এসব কাজে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিবিড় মনিটরিংয়ের ফলে সমন্বয়হীনতা কমেছে। বাড়ছে সমন্বয়। তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো জনমনে আরও দৃঢ় আস্থা তৈরি করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা দেখেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় আঘাত শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, ইরান ভিয়েতনামসহ অনেক দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। শেখ হাসিনার নিরলস শ্রম, মানবিক নেতৃত্ব ও দক্ষতার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা চলবে না। আমাদের শৈথিল্য-উদাসীনতায় যে কোনো সময়ে পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে পারে। আমরা যদি আরও সচেতন থাকি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, ঘরে-বাইরে মাস্ক পরিধান করি, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তাই বলব, আসুন আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিটি দুর্যোগ এবং সংকটে জনমানুষের পাশে রয়েছে। করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য, নগদ অর্থ, চিকিৎসা সহায়তা, সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া বর্তমানে দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত। দুর্গত মানুষের জন্য রান্না করা খাবারসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে আমাদের দল। আর এভাবেই গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক ও আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এখন একটি কাজ করোনা মোকাবেলা আর আরেকটি কাজ হচ্ছে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এটাই আমাদের এই মুহূর্তের রাজনীতি। বন্যার পানি নেমে গেলে শুরু হবে পুনর্বাসন কার্যক্রম।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক বগুড়া