বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের বিপক্ষে লজ্জায় হেলমেট পরেননি কোহলি

বাংলাদেশের বিপক্ষে লজ্জায় হেলমেট পরেননি কোহলি

২০১৫ সালের ওই সিরিজটা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা। মোস্তাফিজুর রহমানের ঝলকে ভারতের মতো পরাশক্তিকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা।

ওই সিরিজে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বরাবরের মতো উইকেটের পেছনটা সামলানোর দায়িত্বও ছিল তারই। কিন্তু এমন চাপের এক সিরিজে একসাথে সব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেন হাঁপিয়ে উঠেছিলেন ক্যাপ্টেন কুল।

এক ম্যাচে তো জুনিয়র সতীর্থ বিরাট কোহলিকে বলেই ফেলেন, ‘দুই-তিন ওভার একটু কিপিং করে দে।’ বড় ভাইয়ের নির্দেশ, কি আর করা! কোহলি দাঁড়িয়ে যান উইকেটের পেছনে। কিন্তু কাজটা যে কত কঠিন, সেদিনই টের পেয়ে যান ভারতের বর্তমান অধিনায়ক।

সতীর্থ মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে কোহলি বলেন, ‌‘কখনও মাহি (ধোনি) ভাইকে জিজ্ঞেস করে দেখো, কেন আমি ওর জায়গায় কিপিং করেছিলাম। মাহি ভাই এসে বলে-ইয়ার, দু’তিন ওভার একটু কিপিং করে দে। আমি কিপিং করার পাশাপাশি ফিল্ডিংও সাজিয়েছিলাম। তখন বুঝেছিলাম, মাহি ভাইকে কত কী করতে হয়!’

কোহলি হেলমেট ছাড়াই কিপিংয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন বল করছিলেন ভারতের পেস আক্রমণের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার উমেশ যাদব।

কোন বলটা আবার নাকে লেগে যায়, ভয়ও পাচ্ছিলেন কোহলি। কিন্তু লজ্জায় তখন হেলমেট পরেননি।

ভারতীয় দলপতি বলেন, ‘কিপিং করার সময় একটু ভয় লাগছিল। উমেশ যাদব তখন পুরো গতিতে বল করছিল। ভয় পাচ্ছিলাম, আমার নাকে না লেগে যায়! মনে হয়েছিল, হেলমেট পরে ফেলি। কিন্তু তার পরে ভাবলাম, ব্যাপারটা খুব লজ্জার হয়ে যাবে।’

ওই সিরিজে প্রথম দুই ওয়ানডেতে দাপটের সঙ্গে জিতেছিল বাংলাদেশ। মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রান এবং দ্বিতীয়টিতে ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় টাইগাররা। তবে তৃতীয় ম্যাচটি ৭৭ রানে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

দৈনিক বগুড়া