বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়াতে পুনরায় অঙ্গীকার তুরস্কের

বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়াতে পুনরায় অঙ্গীকার তুরস্কের

বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে তুরস্ক। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠককালে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বৈঠকের কথা জানানো হয়।

বৈঠকে শিক্ষাবিনিময় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারকরণসহ ‍দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

এ সময় দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়। দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশের সম্পর্কের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

এ সময় মেভলুত চাভুসগলু বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উভয় দেশের মধ্যে পরবর্তী এফওসি (ফরেন অফিস কনসাল্টেশন) ও জেইসির (জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন,) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

তুরস্কের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আরো ভেন্টিলেটর ও মাস্কসহ করোনা চিকিৎসা সামগ্রী দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন মেভলুত চাভুসগলু।

বৈঠকে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সে দেশে প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন মেভলুত চাভুসগলু। অত্যন্ত আন্তরিক ও ফলপ্রসূ এ আলোচনায় ডি-৮ এর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার বিষয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত পোষণ করেন। 

উভয় দেশের পক্ষ থেকে প্যালেস্টাইনের অধিকারের বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। এসময় প্যালেস্টাইনের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরেন ড. মোমেন।

ড. মোমেন চারদিনের সফরে বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি ‍তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছালে ইস্তাম্বুলের ডেপুটি গভর্নর ইসমাইল সানলি তাকে স্বাগত জানান। 

সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্যে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। এছাড়া উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

দৈনিক বগুড়া