বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় বুশরার পথচলা

বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় বুশরার পথচলা

‘ভালোবাসার বাংলাদেশ’, ‘বিজয় বাংলাদেশ’, ‘উৎসবের বাংলাদেশ’- বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমীদের জনপ্রিয় তিনটি গান। বিভিন্ন সময়ে এসব গান গেয়ে পেয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তবে সম্প্রতি তিনি ‘খেলাধুলার বাংলাদেশ’ গেয়ে বাংলাদেশের খেলাধুলাপ্রেমী দর্শকদের কাছে এক বিস্ময়কর জনপ্রিয়তার রেকর্ডও ছুঁয়েছেন। এতক্ষণ বলছিলাম এ সময়ের জনপ্রিয় তরুণ সংগীতশিল্পী, উপস্থাপক ও মডেল বুশরা শাহরিয়ারের কথা।

‘খেলাধুলার বাংলাদেশ’ গানে খুব চমৎকার ও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের খেলাধুলার চিত্র। তার বেশির ভাগ গানই লাল-সবুজের বাংলাদেশ নিয়ে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণই বাংলাদেশের খেলাধুলা বিষয়ক। এসব গানে তিনি অভিনয় করেছেন মাশরাফি, মুশফিক, মোস্তাফিজদের মতো ক্রিকেটাঙ্গনের তারকাদের সঙ্গে।

bushra-in

গানের প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণ আর নিজের প্রথম গান গাওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে বুশরা শাহরিয়ার বলেন, ‘গান গাই, গান গাইতেও খুব ভালোবাসি। আমার গাওয়া প্রথম গানটি আমার লেখা ও সুরে। তাই ভালো লাগার পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল। এজন্য অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিলো। আমি ৪ বছর বয়স থেকে গান শিখছি। প্রথম ৪ বছর ক্ল্যাসিকাল গানের তালিম নেই। আমার গুরু সুব্রত সরকার। এরপর থেকে নজরুলগীতি আর আধুনিক গানে মনোযোগটা ধরে রাখি। যেটা অনেক দূর এগিয়ে এনেছে আমাকে। যা অভাবনীয়ও বটে।’

কাজের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির গল্প তুলে ধরে বুশরা বলেন, ‘কাজ করতে গেলে অবশ্য সহযোগিতার বিকল্প নেই। তবে ‘খেলাধুলার বাংলাদেশ’ গানে মাশরাফি-মুশফিক-মোস্তাফিজদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এ কাজের অনুভূতি অনেক ভালো ছিলো। তাঁরা খুব আন্তরিক ছিলেন। আর বিসিবিও অনেক সাহায্য করেছিলো। খেলাধুলার বাংলাদেশ গানটার রেসপন্স খুব ভালো। এতোটা সাড়া ফেলবে আমি আগে ভাবিনি। দর্শকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আমি এরকম আরো কাজ আপনাদের উপহার দিতে পারি।’

bushra-in

যারা আপনার কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ধারায় আসতে ইচ্ছুক, তাদের উদ্দেশে কী পরামর্শ আপনার? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কাজ দেখে ইন্সপায়ারড হয়ে যদি কেউ এ লাইনে আসতে চায়, তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি তাদের একটা কথাই বলবো, ‘ড্রিম হাই’! স্বপ্ন হতে হবে আকাশ ছোঁয়া। সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’

এমন অবস্থানে আসার পেছনে অনুপ্রেরণা আর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত থাকার কথা তুলে ধরেন বুশরা। তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে গান করছি। আমার হাতেখড়ি আমার মায়ের কাছে। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা থেকেই এ কাজে আসা। আমি স্কুল-কলেজে বিতর্ক, কুইজ, আবৃত্তির বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম।’

bushra-in

উপস্থাপনা, সংগীত, মডেলিং- কোন মাধ্যমে কাজ করতে সবচেয়ে ভালো লাগে? এমন প্রশ্নের জবাবে বুশরা শাহরিয়ার বলেন, ‘উপস্থাপনা ও সংগীত দু’টোকেই আমি আমার পেশা হিসেবে নিয়েছি। আর আমার শখ হচ্ছে ছবি আঁকা। ছবি এঁকেও আমি দারুণ সময় পার করি। এটাও ভালো লাগা আমার। ছবি আঁকার মধ্যেও বাস্তবতা উঠে আসে।’

কাজের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বুশরা বলেন, ‘একটি জায়গায় পৌঁছতে হলে একটু কষ্ট করতেই হয়। তাই আমাকেও কষ্ট করতে হয়েছে। অনেক প্রতিযোগিতা, অডিশনের পর আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি।’

bushra-in

আগামী দিনের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নগর পরিকল্পনা বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য এ মুহূর্তে ভারতে অধ্যয়ন করছি। ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তার জন্য কাজ করছি। আর গান নিয়ে স্বপ্ন হচ্ছে- একদিন আমার কাজের মধ্য দিয়ে আমি আমার দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরব।’

দৈনিক বগুড়া