বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটিকে ঘিরে বাঙালির থাকে নানা আয়োজন ও পরিকল্পনা। তবে এবার কিনা বৈশাখের সব আনন্দ ভেস্তে দিল মহামারি করোনাভাইরাস!
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষই বর্তমানে করোনা থেকে বাঁচতে নিজ গৃহে আশ্রয় নিয়েছে। আর তাইতো বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের আনন্দেও ভাটা পড়েছে। কারণ এবার আর যাওয়ার ফুরসত নেই রমনার বটমূলে কিংবা মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
এবারই হয়ত বা প্রথম ঘরে বসে বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ পালন করবে! কারণ বাইরে যাওয়া যে মানা। সরকার থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে যাতে কেউ পহেলা বৈশাখ বাইরে গিয়ে উদযাপন না করে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরই নিরাপদ স্থান। তাই সুস্থ থাকতে এবারের বৈশাখ বরণে একটু না হয় ভিন্নতা এলো, ঘরেই কাটুক সারাদিন। তবে এদিন ঘরে কী করণীয় জেনে নিন-
বড়দের সময় দিন
প্রতি পহেলা বৈশাখের দিনে তো সবাই কমবেশি বাইরে গিয়ে সময় কাটায়, এবার না হয় সেই সময়টুকু কাটুক পরিবারের সঙ্গে। বড় ও ছোটদের সঙ্গে গল্প করে কিংবা খুনসুটি করে দিব্যি কেটে যেতে পারে আনন্দের এই উৎসবটি।
পুরনো পোশাকটিই গায়ে জড়িয়ে রাখুন
এবার তো পহেলা বৈশাখের বাজারেও ধ্বস নেমেছে। কোথাও কোনো ক্রেতা নেই, এমনকি বেশিরভাগ মার্কেট ও দোকানগুলোও বন্ধ। কেউই এবার বৈশাখের জন্য কেনাকাটা করতে পারেনি। তাই বলে কি লাল-সাদা পোশাকে বৈশাখ বরণ করা হবে না। গত বছরের পোশাকটি তো রয়েছেই! সেটিই না হয় গায়ে তুলে নিন।
সকালেই ঘর সেজে উঠুক
ঘরটি পছন্দ অনুযায়ী সকাল বেলাতেই সাজিয়ে নিন। এতে করে বাড়িতে উৎসবের আমেজ আসবে। বিছানার চাদর পাল্টে নিন সঙ্গে পর্দাও বদল করুন। এতে করে ঘরে স্বস্তির ভাব আসবে।
পরিবারের জন্য সাজুন
দীর্ঘদিন ঘরে থাকায় অনেকেই সাজসজ্জা প্রায় ভুলতেই বসেছেন! তাই বলে পহেলা বৈশাখে না সাজলে কি হয়? পছন্দের পোশাকটি পরে সেজে পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটান। তারপর সবাই মিলে সারাদিন আড্ডা দিন, ছবি তুলুন কিংবা গল্প করুন। চাইলে সবাই মিলে পছন্দের সিনেমাও দেখতে পারেন। বিকেলে ছাদে উঠে চাইলে পিকনিকও করতে পারেন।
পছন্দের নানা পদ থাকুক পাতে
বাঙালি সবসময়ই ভোজনরসিক। পহেলা বৈশাখের দিনে খাবারে অদলবদল না এলে কি চলে! সকালে তো পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ, সারাদিন বাহারি মিষ্টির পদ থেকে শুরু করে খিচুড়ির সঙ্গে ভর্তা কিংবা পোলাও-কাচ্চি সবই চলে। পরিবারের সবার সঙ্গে মিলে রান্না করুন বাহারি পদ। এরপর সবাই মিলে বসে আনন্দের সঙ্গে খাবার খেয়ে দেখুন কতটা প্রশান্তি মিলবে!
আত্মীয়দের সময় দিন অনলাইনে
পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব যারা দূরে আছেন, তাদেরকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। ফোনে কথা বলুন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন। দেখবেন মন ফুরফুরে হয়ে গেছে!
নামাজ পড়ুন
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে মন শান্ত থাকে। এজন্য কাজের ফাঁকে নিয়মিত প্রার্থনা করুন।
দৈনিক বগুড়া