বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ধোনি!

শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ধোনি!

মহেন্দ্র সিং ধোনিকে কি আবার ভারতের জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে? গেল বছরের বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল থেকে ভারতের বিদায় নেয়ার পরপরই এই প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে। যার উত্তর মেলেনি এখনো!

গত বছরের ১০ জুলাই ম্যানচেস্টারে খেলা সেই ম্যাচটাই কি তাহলে ধোনির শেষ আর্ন্তজাতিক ম্যাচ? খুব সম্ভবত হ্যাঁ। সেই ম্যাচের পর ধোনি ভারতের হয়ে আর কোন আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলেননি। নির্বাচকদের জানিয়ে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। তবে আইপিএলের জন্য নিজেকে ঠিকই প্রস্তুত করছেন ধোনি। সমস্যা হলো করোনাভাইরাসের কারণে এই বছরের আইপিএলও এখন স্থগিত। পুরো টুর্নামেন্টই বাতিল হওয়ার পথে।

আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ধোনির ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া বলছিলেন-‘ বিশ্বকাপের পর নিজের আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট প্রসঙ্গে ধোনি কিছুই বলেননি। আসলে তার গল্পটা সবসময়ই একটু ভিন্ন। অনেকেই হয়তো এখন ভাবছেন আইপিএলে ভাল পারফর্ম করলে ধোনি ভারতীয় দলে ফের খেলতে পারেন। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলে ধোনি সম্ভবত তার শেষ ম্যাচ ম্যানচেস্টারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে ফেলেছেন!’

চোপড়া বলছিলেন-‘আমার তো মনে হয় ধোনি তার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তাকে সম্ভবত আর ভারতের জার্সি গায়ে দেখা যাবে না।’

নিজের এই মতামতের সঙ্গে অন্য একটা সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন আকাশ চোপড়া। যদি বিসিসিআই এর সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি অথবা হেড কোচ রবি শাস্ত্রী বা অধিনায়ক বিরাট কোহলি সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলে ভারতকে সহায়তার জন্য ধোনিকে বলেন, তাহলেই কেবল তাকে আবার ভারতীয় জার্সি গায়ে দেখা যেতে পারে, নতুবা না।

ধোনি যদি বিশ্বকাপের আগে তেমন কোন প্রস্তাব না পান তাহলে এটা নিশ্চিত যে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে তার ফেরার সম্ভাবনা আর নেই। ধোনির বিদায় প্রসঙ্গে আকাশ চোপড়া বলছিলেন-‘আমার তো মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত ধোনি নিয়ে ফেলেছেন, জাতীয় দলে আর নয়। তাছাড়া আমার ( ধোনির) কোন বিদায় ম্যাচের প্রয়োজনও নেই। এসেছিলাম নীরবে, বিদায়ও নীরবে। বিদায়বেলা তার তুমুল হৈচৈ করতে হবে-এমন কোনকিছুর জন্য ধোনি অপেক্ষা করেন না।’

ভারতের হয়ে ধোনি ৯০টি টেস্ট, ৩৫০টি ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৯৮টি। ২০০৭ সালে অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১১ সালে জিতেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পরিসংখ্যানের বিচারে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কের তালিকায় তার নামই এক নম্বরে।

দৈনিক বগুড়া