রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম চাষে আনোয়ারের সাফল্য!

শেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম চাষে আনোয়ারের সাফল্য!

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বাণিজ্যিকভাবে মরুর ফল সাম্মাম চাষে সফল কৃষি উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় কম বেশি এই ফলের আবাদ হলেও এই উপজেলার গারো পাহাড়ে প্রথম চাষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি ৫০ হাজার টাকার সাম্মাম বিক্রি করেছেন। তার সফলতা দেখে অনেকেই এই ফলের চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

জানা যায়, কৃষি উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গোমড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে আসেন। অনলাইনের মাধ্যমে এই জনপ্রিয় ফলটি দেখে চাষ করার পরিকল্পনা করেন। তারপর সুতা দিয়ে মাচা তৈরী করে ১০ শতাংশ জমিতে বীজ বপন করে চাষ শুরু করেন। বীজ বপনের মাত্র ২ মাসের মধ্যেই গাছে ফলন পেতে শুরু করেন। বর্তমানে তার জমির মাচায় বিভিন্ন আকারের কাঁচা-আধাপাকা কয়েকশ ফল ঝুলছে। এখন তা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রিও শুরু করে দিয়েছেন।

উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসি। তারপর অনলাইনের মাধ্যমে এই ফলের চাষ দেখে আগ্রহী হই। আমার ১০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে জমি তৈরী করে এই ফলের বীজ বপন করি। এতে আমার সব মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। মাত্র ২ মাসের মধ্যেই ফল পেতে শুরু করি। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার সাম্মাম বিক্রি করেছি। আশা করছি এই জমি থেকে লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো।

পাইকাররা বলেন, এই ফলটি খুবই সুস্বাদু। স্বাদের তুলনায় এই ফল ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যাবে। সাম্মাম খেত দেখতে আসা ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমি কিছুদিন আগে রাজধানীর একটি সুপারশপ থেকে ৩ কেজি সাম্মাম ১২০০ টাক দিয়ে কিনেছি। এই ফলটি খেতে খুবই সুস্বাদু। আমাদের এখানে এর চাষ হচ্ছে শুনে দেখতে আসলাম।

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শিবানী রানী নাথ বলেন, সাম্মাম একটি বিদেশি ফলন। এটি আরব দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। আমাদের দেশে এটি রকমেলন নামে পরিচিত। এই জাতীয় ফলগুলো জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। পানির কারণে গাছের গোড় পঁচে গাছ মারা যায়। শুকনো জায়গায় চাষ করতে হয়। তবে আমাদের গারো পাহাড়ের মাটির একটি বিশেষ গুন রয়েছে, তা হলো পানি আটকে থাকে না। তাই এখানে সাম্মাম বা রকমেলন জাতিয় ফলগুলো চাষ করা যাবে।

দৈনিক বগুড়া