বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়

নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়

নড়াইলে অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মেলার অষ্টম দিনে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই দেখে খুশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শকরা। আয়োজকরা জানান, আধুনিক সভ্যতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এ আয়োজন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকেই মালিকরা ষাঁড় নিয়ে মাঠে আসতে থাকেন। দুপুর ১২টা থেকে লটারির মাধ্যমে জোড়ায় জোড়ায় শুরু হয় ষাঁড়ের লড়াই। এ প্রতিযোগিতা দেখতে নড়াইলসহ আশপাশের জেলা থেকে হাজারো মানুষের আগমনে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় মেলা প্রাঙ্গণ।

প্রতি বছর সুলতান মেলায় ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। করোনার কারণে গত দুই বছর মেলা হয়নি। দীর্ঘদিন পর সুলতান মেলায় ষাঁড়ের লড়াই উপভোগ করে খুশি দর্শকরা। নড়াইল, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১০০টি ষাঁড় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

ষাঁড়ের মালিকরা জানান, গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য তারা ষাঁড় নিয়ে এসেছেন। এছাড়া মেলা থেকেই বিজয়ী ষাঁড় অনেক দামে বিক্রি হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে নওয়াপাড়া এলাকার রানার ষাঁড়, দ্বিতীয় পায়রা এলাকার আলাউদ্দিনের ষাঁড় এবং তৃতীয় পচামাগুরা এলাকার লিংকনের ষাঁড়।

১৪ দিনব্যাপী (৭-২০ জানুয়ারি) সুলতান মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জীবন দর্শন, শিল্পীসত্তা ও কর্মময় জীবনের ওপর সেমিনার ও আলোচনা সভা, দেশ-বিদেশি বিশিষ্ট শিল্পীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গ্রামীণ খেলাধুলা (কাবাডি, লাঠিখেলা, ভলিবল, কুস্তি, আরচারি, ঘোড়ার গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা), সুলতান পদক প্রদান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। এবারের সুলতান মেলায় স্থানীয় ৪৪টি সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: