• শুক্রবার   ৩১ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৭ ১৪২৯

  • || ১০ রমজান ১৪৪৪

২০ দিন পর আম বেচবেন মোস্তফা

দৈনিক বগুড়া

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩  

চলছে ফাল্গুন মাস। এ মাসে আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গাছে গাছে সুবাস ছড়াচ্ছে সোনালী মুকুল। ভালো ফলন পেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। তবে ব্যতিক্রম গোলাম মোস্তাফার বাগানে। গাছে মুকুলের পাশাপাশি দুলছে কাটিমন জাতের বারোমাসি আম। রমজানেই আমগুলো বিক্রি উপযোগী হবে।

উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহির এলাকার নয়ানগরে গোলাম মোস্তফার আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ বিঘা জমিতে সারি সারি লাগানো আছে কাটিমন জাতের প্রায় দুই হাজার আম গাছ। গাছের ডালে ডালে মুকুল ফুটেছে আবার একই গাছে ঝুলে আছে আমও। এ আম পরিপক্ব হবে আরও ২০ দিন পর। আর এসময়ে নতুন মুকুলে গুটি আসবে।

গোলাম মোস্তফা বলেন, সিজনাল আমে লোকসান গুনেছি। তাই কাটিমন জাতের আম বাগান করেছি। এ জাতের আম বছরের যেকোনো সময় উৎপাদন সম্ভব। তাই বেশি দামে বিক্রিও করা যায়। গত বছর এ সময় আম উৎপাদন করে রোজায় বিক্রি করেছিলাম ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে। এবারও আমার বাগানে প্রায় দুই হাজার গাছে আম ধরে আছে। আশা করছি এবারও ৪০০-৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, এখন সবার আম বাগানে মুকুল ফুটেছে। কিন্তু আমার গাছে আম ঝুলছে। কারণ আমি আগেই চিন্তা করেছি যে রমজানে আম বিক্রি করবো। অনেক আম ব্যবসায়ী বলেন বাগানে তেমন আয় হচ্ছে না। কিন্তু আমি মনে করি আমের বাগান করে এখনো স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তবে পরিবর্তন করতে হবে চাষের ধরন। যে সময় আমের দাম বেশি পাওয়া যাবে সে সময় গাছে আম ধরাতে হবে।

শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, কাটিমন মূলত একটি নাবি জাতের আম। এ আমে গাছ ভালো পরিচর্যা করলে বছরে তিনবার ফল ধরানো সম্ভব। জেলায় এখনো কিছু কিছু জায়গায় কাটিমন আম আছে। তারা রমজানে বিক্রি করবেন। দিন দিন এ আম চাষির সংখ্যা বাড়ছে। আমিও এ বছর অন্য জাতের গাছ বাদ দিয়ে কাটিমন করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, বর্তমানে বারোমাসি কাটিমন জাতের গাছগুলোতে আম ঝুলছে। এ জাতের গাছে মুকুল এসেছিল দুমাস আগে। আর ফের এখন সেই গাছগুলোতে মুকুল হচ্ছে। এ জাতের আম গাছে বছরে তিনবার মুকুল আসে।

তিনি আরও বলেন, চাষিরা এখন আলট্রা হাইডেনসিটি (অতি ঘন) বাগানের দিকে ঝুঁকছেন। পাশাপাশি গত এক দশকে ছোট গাছের জাতগুলোর সম্প্রসারণ হয়েছে। আর সিজনাল আমের দাম কম পাচ্ছেন। কিন্তু এ বারোমাসি আমগুলোর দামও ভালো।

দৈনিক বগুড়া
দৈনিক বগুড়া