বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ফরহাদের ‘আঙিনা বাগান’

ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ফরহাদের ‘আঙিনা বাগান’

মাত্র তিন বছর আগে নিজ বাড়ির আঙিনায় লাগিয়েছিলেন পাঁচ রকমের আম গাছ। সঙ্গে লাগিয়েছিলেন আরও চার রকমের ফলের গাছ। সেই আম গাছে এবার ব্যাপকভাবে আম এসেছে। আমের মধ্যে আছে-গৌড় মতি, রেড তাইওয়ান, গ্রিন তাইওয়ান, ব্যানানা ম্যাংগো, বারি-৪ ইত্যাদি।

বাড়ির আঙিনায় এমন ব্যতিক্রমী বাগান করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদা পাড়ার বাসিন্দা খন্দকার ফরহাতুল হক ফরহাদ (৪০)। ফরহাদের কাছ থেকে জানা যায়, বাড়ির উঠানকে ফলের বাগানে রূপান্তরিত করায় বাগান দেখতে আসছেন শহরের বিভিন্ন সৌখিন মানুষ । সেই সঙ্গে নিচ্ছেন পরামর্শ।

ফরহাদ বলেন, ভালোলাগা থেকে ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন কৃষি খামার পরিদর্শন করতেন এবং সেখান থেকে চারা সংগ্রহ করতেন। তিন বছর আগে ছুটির দিন ছাড়া তার পক্ষে গাছ পরিচর্যা করা সম্ভব হতো না। এজন্য কৃষি জমি থাকলেও বাড়ির উঠানকেই তিনি পরীক্ষামূলক চাষ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

ফরহাদ আরও বলেন, তিনি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে এখন ব্যবসা করছেন। তার আঙিনায় বিভিন্ন জাতের আমের সঙ্গে রয়েছে ড্রাগন, পেয়ারা, মাল্টা ও আঙ্গুর গাছ।

Kaligonj

খন্দকার ফরহাতুল হক বলেন, আঙিনা বাগান করার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয় না। শুধু ইচ্ছে শক্তিই পারে আপনার বাড়িকে বিশেষ করে তুলতে। এ পদ্ধতি যদি প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তবে দেশে আর কখনই ভিটামিনের অভাব থাকবে না। সেই সঙ্গে ফলের দামও চলে আসবে হাতের নাগালে।

ফরহাদের আঙিনা বাগান নিয়ে কথা হয় কৃষিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা রাজশাহীর মনিরুজ্জামান মনিরের সঙ্গে। তিনি ফরহাদের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যারা উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন তারা ফরহাদ সাহেবের মতো বাড়ির আঙিনায় পরীক্ষামূলক চাষ করতে পারেন। তারপর মাঠে বাণিজ্যিক চাষে গেলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মনির ফরহাদের কৃষি প্রজেক্টের বাণিজ্যিক সফলতা কামনা করেছেন।

দৈনিক বগুড়া