
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ইেরনর যোগল নগর গ্রামের বাসিন্দা মিন্নত আলী। জমিতে সবজি চাষ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন একসময় ধান চাষ করা এই কৃষক। তার বাগানে ফলেছে আশাতীত সবুজ ফসল। তার ওই বাগান দেখতে প্রায় প্রতিদিন লোকজনের সমাগম ঘটছে। কৃষি খামার তৈরি ও ফসলাদি উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার বেকার মানুষ।
জানা যায়, জগন্নাথপুরের মিন্নত আলী দীর্ঘ দিন ধরে ফসলি জমিতে ধান চাষ করে আস ছিলেন। ধান বিক্রি করে যা পেতেন, তা দিয়ে কোনোরকমে চলতো তার পরিবার। কৃষি অফিস বা সরকারি কোনো প্রকার সহায়তা ছাড়াই ক্ষেতের সবজি চাষ শুরু করেন। এক সময় তার সবজি ক্ষেত হয়ে ওঠে সবুজ-শ্যামল এক বাগান। চলতি শীত মৌসুমে তার ফলানো নানারকম সবজির মধ্যে রয়েছে বাহারি জাতের শিম, লাউ, বেগুন, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, শসা ইত্যাদি। প্রতিদিনি সকালে সবজি ব্যবসায়ীরা ভিড় করেন তার ক্ষেত থেকে সবজি আনতে। এ পর্যন্ত তিনি তিন লাখ টাকার শীতকালীন সবজি বিক্রি করতে পেরেছেন। পুরো ফসল তুলতে পারলে আরও ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
মিন্নত আলী বলেন, পরিবারের আট সদস্য নিয়ে শুধু বোরো ফসল চাষ করে সংসার চালাতাম। ২০১৭ সালে আমি নিজ উদ্যোগে সরকারি কোনো আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা ছাড়াই সবজি চাষ শুরু করি। আমার দেখাদেখি এলাকার আরও অনেকে তাদের পতিত জমিতে সবজি বাগান করছেন এখন। তিরি আরও বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে সরকারের কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে। আরও বেশি করে সহযোগিতা করলে আরও ভালো ফলন পেতে পারি। তাই সরকারিভাবে সবজি বাগান পরিদর্শন ও সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।
জগন্নাথপুরের কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, মিন্নত আলীসহ আমাদের উপজেলার কৃষকদের কৃষি অফিস থেকে সবজি চাষের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। মিন্নত আলী এবার ৪ একর জায়গায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি চাষ করেছেন এবং ফলনও ভালো হচ্ছে। আমরা তাকে সব ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।
দৈনিক বগুড়া