শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

যে গ্রামে শত বছর ধরে বিচরণ করছে রহস্যময় পাখি

যে গ্রামে শত বছর ধরে বিচরণ করছে রহস্যময় পাখি

সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের সাতরা গ্রামে শত বছর ধরে বিচরণ করছে রহস্যে ঘেরা হাজার হাজার পাখি। নানা প্রজাতির পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর আশপাশের এলাকা।

পাখিদের ওড়াউড়ি কিচিরমিচির আওয়াজ মুগ্ধ করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের। এখানে প্রাকৃতিকভাবে পাখির অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় লোকমুখে এ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী।  

খোঁজ নিয়ে যায়, শরফুদ্দিন পাটোয়ারীর বাড়ি। এ বাড়িতে বসবাস করছে ৩৬টি পরিবার। এ বাড়ির সামনে আছে দুটি পুকুর। পাড়ে রয়েছে বেশ কিছু গাছ। শত বছর ধরে পুকুর পাড়ের গাছগুলোতে বসবাস করছে হাজার হাজার পাখি। রহস্যজনকভাবে পাখিগুলো প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় এখানে আসে। আবার ফজর নামাজের পরপরই চলে যায়।

এখানে বিচরণ করা উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হলো, সাদা বক, কালো শালিক, শালিক, ঘুঘুসহ অন্তত ১৫-২০ প্রজাতির পাখি।

স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম তুহিন বলেন, এসব রহস্য পাখিকে স্থানীয়রা খুব মেনে চলে। তাদের পূর্ব পুরুষ থেকে পাখিগুলোর বিচরণ। দুটি পুকুরের মাছের জন্য দিতে হয় না আলাদা কোনো খাদ্য। পাখির বিষ্ঠায় মাছের খাদ্য। এতে সহজে পুকুরের মাছগুলো অল্প দিনে ৩-৪ কেজি হয়ে যায়। মাছও অনেক সুস্বাদু। পুকুরের পানি দেখতে খারাপ লাগলেও তারা ওই পানিই ব্যবহার করছে। এতে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না।

নোয়াখালী উপকূলীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউছুফ জানান, ভিন্ন রকমের পাখি এখানে বসবাস করার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দীর্ঘ সময় পাখিগুলো এখানে বসবাস করার কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি স্থানীয়দের এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা হবে।   

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: