বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আরো জোরালো সম্পর্কে আশাবাদী হাসিনা-মোদি

আরো জোরালো সম্পর্কে আশাবাদী হাসিনা-মোদি

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরালো, গভীর ও সম্প্রসারিত করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল সোমবার মৈত্রী দিবস উপলক্ষে দেওয়া বার্তায় দুই নেতা তাঁদের এই আগ্রহের কথা জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে আমাদের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব উদযাপন ও স্মরণ করছি। আমি এই সম্পর্ক আরো বিস্তৃত ও গভীর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখার অপেক্ষায় আছি।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল নয়াদিল্লিতে মৈত্রী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান। এতে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো জোরালো করতে তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ব্যবসা, যোগাযোগব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পর্ক আরো জোরদার করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্বে বিশ্বাস করে চলেছি। একই সঙ্গে এই বর্ষপূর্তি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি এবং সামনের পথচলা সম্পর্কে চিন্তার সুযোগ এনে দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, “গত ২৬ থেকে ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রীয় সফরে আমরা ঢাকা ও নয়াদিল্লির পাশাপাশি বিশ্বের ১৮টি শহরে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি যৌথভাবে উদযাপনের বিষয়ে একমত হয়েছি এবং ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাত্রায় এটি একটি মাইলফলক। ভারত ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে দুই দেশ ও জনগোষ্ঠী একসঙ্গে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণাকে বাস্তবতায় পরিণত করে চলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অংশীদারি কোনো চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অংশীদারি আমাদের কাজের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক কাঠামো দিয়ে থাকে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ, আমাদের বিশাল অংশীদারি পরিপক্ব হয়েছে, গতিশীল, ব্যাপক ও কৌশলগত আকার নিয়েছে। সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে অংশীদারি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং অন্য অগণিত অভিন্নতার যৌথ মূল্যবোধে পরিগণিত।’

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গড়েছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর এক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হূদয়ে রয়েছে। বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তাঁর সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভারত তখন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, মুজিবনগর সরকারের জন্য জায়গা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছে।

দৈনিক বগুড়া