মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বে খাদ্য সংকট কাটাতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বে খাদ্য সংকট কাটাতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে নিত্যপণ্যের হঠাৎ ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপর্যস্ত সরবরাহ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বে খাদ্য সংকট কাটাতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। শুক্রবার রাতে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো 'চ্যাম্পিয়নস গ্রুপ অব গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স ফর ফুড, এনার্জি অ্যান্ড ফাইন্যান্স'-এর বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানোয় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানিয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ চ্যাম্পিয়ন্স গ্রুপের অংশ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এমন একটা সময়ে এসেছে যখন পুরো বিশ্ব করোনা মহামারী থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে নাজুক হয়ে পড়া বিশ্ব অর্থনীতির ওপর এটা গুরুতর চাপ হয়ে উঠছে।

বিশ্বজুড়ে আর্থিক এ সংকট মোকাবেলায় নিজেকে গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, এ সংকটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষের কণ্ঠস্বরকে এই টেবিলে পৌঁছে দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী জানান, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোকে (এসআইডি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতি বইতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তাদের জন্য সহায়তার সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা করতে হবে।

সংকট মোকাবিলায় নিজের ভাবনা তুলে ধরে এ সময় চারটি প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত, আমাদের বৈশ্বিক সংহতি জোরদার করতে হবে এবং সুসমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক প্রয়োজন হল বৈশ্বিক লজিস্টিক এবং সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাঘাত মোকাবেলা করা। এটা পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং রপ্তানি আয় পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমর্থনও থাকতে হবে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ এবং অন্যান্য দুর্বল দেশগুলোর জন্য। এছাড়া উন্নত অর্থনীতি ও বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে, শুল্কমুক্ত-কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এবং আরও সহজলভ্য আর্থিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা জানান, কার্যকর খাদ্য সঞ্চয় ও বিতরণ ব্যবস্থার জন্য কৃষি খাতের জন্য প্রযুক্তি সহায়তা এবং বিনিয়োগের ওপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, নবায়যোগ্য জ্বালানি খাতে, বিশেষ করে এলডিসিগুলোতে (স্বল্পোন্নত দেশ) ব্যবসার ক্ষেত্রে আনকোরা অনেক সুযোগ রয়েছে।

এ বিষয়গুলো এগিয়ে নিতে বিদ্যমান উত্তর-দক্ষিণ, দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে জানিয়ে এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে উলেস্নখ করেন তিনি।

সবশেষে ৪৮ সদস্যের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ নিম্নাঞ্চলীয় দেশগুলোর জন্য কাজের সুযোগ পাওয়ার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তবে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই