বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তৈরি হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ

তৈরি হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ

আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। এরপরই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আর প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ। যেখানে প্রায় একসঙ্গে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। এরই মধ্যে ঈদগাহে বাঁশ বাঁধার কাজ শেষ পর্যায়ে। এরপরেই শুরু হবে সামিয়ানা টাঙানোসহ অন্যান্য কাজ।  

শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা পুরো মাঠে প্যান্ডেল টাঙানোর কাজ করছেন। ৬৫০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩৬০ ফুট প্রস্থের মাঠটিতে বাঁশ বাধার কাজ করছেন শ্রমিকরা। অনেক শ্রমিককে কাজ শেষে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।

এর আগে, গত ১৩ জুন থেকে ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ৮০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে নামাজের জন্য ময়দান পুরোপুরি প্রস্তুত হবে।

এ বছর জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। থাকবে অজুর ব্যবস্থাও। ১৪০ জন মুসল্লি একসঙ্গে অজু করতে পারবেন। মোট ১০টি এয়ার কুলারের ব্যবস্থা থাকবে। মাঠে ৫৫০টি সিলিং ফ্যান, ১৫০টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ৪০টি মেটাল লাইট ও ৭০০টি টিউবলাইট লাগানো হবে। ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও রাখা হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, ৩০ হাজার বর্গমিটার ময়দানের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার জুড়ে প্যান্ডেল করা হচ্ছে। এবার ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়। তবে বৈরী আবহাওয়া থাকলে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ৩৫ হাজারের মতো মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া ২৫০ জন ভিআইপি পুরুষ এবং ৮০ জন ভিআইপি নারীর জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হবে। 

মাঠে কর্মরত প্রধান শ্রমিক আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরে বাঁশ বাঁধছি। আমাদের বাঁশ বাঁধার কাজ প্রায় শেষ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি প্রতিরোধী ত্রিপল এবং সামিয়ানা টাঙানো হবে। তারপরে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য কাজগুলো করে নামাজের জন্য পুরো মাঠ প্রস্তুত করা হবে।

দৈনিক বগুড়া