শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২৮ ফেব্রুয়ারি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, হাওড়ে উৎসবের আমেজ

২৮ ফেব্রুয়ারি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, হাওড়ে উৎসবের আমেজ

গত প্রায় এক দশকে ব্যাপক উন্নয়নে বদলে গেছে কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের চিত্র। বিশেষ করে ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এই তিন থানাকে সংযোগ স্থাপনকারী অলওয়েদার সড়কের কারণে বদলে গেছে এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। বদলে যাওয়া এই হাওড়ে যাচ্ছেন এই উন্নয়নের প্রধান কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সরকারপ্রধান মিঠামইনে সফর করবেন। তার এই সফরকে ঘিরে হাওড়াঞ্চলে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

২৮ ফেব্রুয়ারি মিঠামইনে সমাবেশে হাওরের উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার এই সফরকে ঘিরে জোর প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। ভোটের বছরে কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে চাঙা ভাব দেখা গেছে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে নির্মাণাধীন সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন এবং জনসভায় উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড জনতার মাঝে তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন। ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

এই সংসদ সদস্য মনে করেন, সমাবেশের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের হাওড়ের জনগণের উন্নয়নের দ্বার আরও খুলে যাবে। এছাড়া এই সফর আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করেছে ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ। এছাড়া নিকলী-বাজিতপুর, করিমগঞ্জ-তাড়াইল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সমাবেশ সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে।

১৯৯৮ সালে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রায় ২৫ বছর পর দলীয়প্রধানের সফর ঘিরে বাড়তি উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

দৈনিক বগুড়া