বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘সরকারের প্রতি আস্থা’ বগুড়াতেও, জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী

‘সরকারের প্রতি আস্থা’ বগুড়াতেও, জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী

“আজকে আমি বগুড়ার খবর নিলাম। বগুড়ায় গ্রামে-গঞ্জে কিন্তু আমাদের সরকারের প্রতি আস্থার সৃষ্টি হয়েছে।” বিএনপির ভোটের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বাড়ি বগুড়াতেও এখন সরকারের অবস্থান দৃঢ় বলে ‘জানতে পেরেছেন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, জনগণ ভোট না দিলে ক্ষমতায় থাকবেন না, এ নিয়ে কোনো আফসোসও থাকবে না। তবে সাধারণ মানুষ মনে করে ‘এই সরকারের থাকা উচিত।’ সোমবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

কাতারে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলন যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। বিদেশ সফর থেকে ফিরে বরাবরের মত সাংবাদিকদের সামনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এতে সফরের কর্মকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরার পর প্রশ্নোত্তরপর্বে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ উঠে আসা সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়েও প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

প্রশ্নোত্তর পর্বে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, “ইলেকশন, এটা জনগণের ইচ্ছা। জনগণ ভোট দিলে আছি, না হলে নাই। এ নিয়ে আফসোস নাই তো।” জনগণ এ সরকারকেই চায় জানিয় তিনি বলেন, “আমরা কাজ করে মানুষের ভেতরে অন্তত আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। আজকে আমি বগুড়ার খবর নিলাম। বগুড়ায় গ্রামে-গঞ্জে কিন্তু আমাদের সরকারের প্রতি আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। “আমার দল করে না অন্য দল করে। তাদের ‍মুখ থেকে আমি আজকে সেই তথ্যটা নিয়েছি।”

এরশাদ সরকারের পতনের পর থেকে বগুড়ার সাতটি আসনে বরাবরই বিএনপির অবস্থান ছিল দৃঢ়। তবে বগুড়া ১ ও বগুড়া ৫ আসনে ভোট বাড়িয়ে আসছিল আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এ দুটি আসনে জয়ীও হন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ দুটির পাশাপাশি বগুড়া ২ আসনেও জেতে আওয়ামী লীগ।

বগুড়া থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় এক সংসদ সদস্যের সঙ্গে তার কী কথা, সংবাদ সম্মেলনে সেটিও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আমাদের একজন সংসদ সদস্য। আমি তাকে বললাম কী অবস্থা? (তিনি বললেন) সাধারণ মানুষ- গ্রামের মানুষের একটাই কথা, এই সরকারের থাকা উচিত। এটা সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এর পরে কী হবে দেখা যাক।”

২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কারচুপির অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরে এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী সামনে আনেন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনের কথা। তিনি বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা প্রথমে ২৯টা সিট, তারপরে বাই ইলেকশনে একটাসহ ৩০টা। ২০ দলীয় জোট বিএনপির নেতৃত্বে তারা পেয়েছে ৩০টা সিট। আর ২৭০টা পেলাম আমরা মহাজোট, জাতীয় পার্টিসহ সব মিলিয়ে। ‘‘২০০৮ এর নির্বাচন যেটা সবচেয়ে অবাধ নির্বাচন- সেই নির্বাচনেই তাদের এই দুরাবস্থা।”

 

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

এবার উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির!
বগুড়ায় পানি নিষ্কাশনে ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বগুড়ায় দাম কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের
বগুড়ার বিখ্যাত সাদা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
গাবতলীতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
সারিয়াকান্দিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা পালিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু