![যুবসমাজকে নার্সিং শিক্ষা ও সেবায় নিয়োজিত হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী যুবসমাজকে নার্সিং শিক্ষা ও সেবায় নিয়োজিত হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী](https://www.dainikbogura.com/media/imgAll/2021November/Screenshot_31-2303161327.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যুবসমাজকে নার্সিং শিক্ষা গ্রহণ এবং বৃহৎ পরিসরে সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি দেশের যুবসমাজকে নার্সিং শিক্ষা গ্রহণ এবং সেবায় নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নার্সিং শিক্ষা গ্রহণ করলে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও কর্মসংস্থান হবে। উন্নত সেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে পারলে নিজেরও একটা আত্মতৃপ্তি আসবে।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুরে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজ’-এর দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান-২০২৩-এ প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা আজ গ্র্যাজুয়েট হলেন, ডিগ্রি পেলেন, তাদেরকে জনগণকে সেবা দেওয়ার কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। একজন রোগী চিকিৎসা এবং ওষুধে যতটা না সুস্থ হবে, ডাক্তারদের সহানুভূতি এবং নার্সদের সেবা পেয়েই কিন্তু এর চেয়ে বেশি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারে। তাদের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।
তিনি বলেন, যারা ৪ বছর কঠোর অধ্যবসায়ের ফসল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই জনগণের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করবেন। আপনাদের অর্জিত জ্ঞান আপনারা কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন। সব ক্ষেত্রে যেমন বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে, এই ক্ষেত্রেও এগিয়ে যাবে, সেটাই আমি চাই। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সেবাধর্মের প্রতীক বিশ্বের খ্যাতনামা নার্স ও মানবসেবী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের কথা উল্লেখ করেন, যিনি মানবসেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা এই নার্সিং কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করবেন বলেও জানান। এজন্য জমিও নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় ৪৪ হাজার ৫৩৪ জন নার্স এবং মিডওয়াইফ কর্মরত আছেন। ২ হাজার ৩৬৭টি শূন্যপদের বিপরীতে সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৫ হাজার মিডওয়াইফের নতুন পদ সৃজন প্রক্রিয়াধীন। ‘জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি-২০১১’ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার সরকার দেশের স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছে। এখন সেখানে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইন্সুলিনও বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌফিক বিন ইসমাইল এবং দ্বিতীয় ব্যাচের স্নাতক শিক্ষার্থী আনামুল হক। স্নাতক বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদের সভাপতি নরহাইজাম বিনতি মোহাম্মদ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কলেজের ২১০ জন স্নাতকের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। তিনি ছয়জন স্নাতক শিক্ষার্থীকে তাদের অসামান্য একাডেমিক রেকর্ডের জন্য ‘প্রাইমমিনিস্টার্স অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের ওয়েবসাইট, হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এবং মেডিকেল জার্নালও উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মো. নূরুল হক প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেপিজে ঢাকা জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্সের একটি সংখ্যা হস্তান্তর করেন। এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি স্লিট ল্যাম্প ও অপারেটিভ মাইক্রোস্কোপের ডামি হস্তান্তর করেন।
দৈনিক বগুড়া