শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের প্রথম নারী ডগ হ্যান্ডলারের যাত্রা শুরু

দেশের প্রথম নারী ডগ হ্যান্ডলারের যাত্রা শুরু

বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে এবং অপারেশনাল টিমকে কারিগরি সহায়তা দিতে পুলিশের কেনাইন ইউনিট (ডগ স্কোয়াড) কাজ করে। বতর্মানে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ছাড়াও ডিএমপি ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড রয়েছে।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়নে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নারী হ্যান্ডলার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ৭ জন নারী পুলিশ সদস্য বেসিক কেনাইন হ্যান্ডলার কোর্স (Female) এ অংশ নিয়ে এই নতুন যুগের সূচনা করেছেন।

প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন বৃটেন এবং নিউজিল্যান্ডের দুইজন খ্যাতনামা এবং পেশাদার ডগ স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রাইসন (ইউকে), মেলিন ব্রডউইক (নিউজিল্যান্ড)। ইউএস এম্বাসি ও এয়ারপোর্ট আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই ট্রেনিং নারী পুলিশ সদস্যরা সফলতার সাথে শেষ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) তাদের হাতে প্রশিক্ষণ সমাপনী সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তোফায়েল আহম্মদ, কমান্ডিং অফিসার (এ্যাডিশনাল ডিআইজি), হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপটেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং ইউএস এম্বাসি, ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

২০১৭ সালে ২টি ল্যাবরেডর, ২টি জার্মান শেফার্ড ও ৪টি বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস জাতের কুকুর এবং ১৬ জন হ্যান্ডলার নিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কেনাইন ইউনিট যাত্রা শুরু করে। শুধু মাত্র বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় ডেডিকেটেড এই ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে আগত যাত্রী, সহযাত্রী এবং তাদের ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এছাড়াও, ক্যানোপী নিরাপত্তা, পার্কিং এরিয়া এবং আগত যানবাহনে বিস্ফোরক পদার্থের উপস্থিতি সার্চ, ব্যাগেজ বেল্ট এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা এবং ভিভিআইপি নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডগ স্কোয়াড। এই ইউনিটে নারী হ্যান্ডলারদের সংযোজন নিঃসন্দেহে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করবে।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডগ স্কোয়াডে ২০২৫ সালের মধ্যে কুকুরের সংখ্যা ৬৬টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের সম্ভাব্য বিশাল অপারেশনের কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে বৃটেন এবং নেদারল্যান্ডস থেকে আরও অন্তত ১৫টি ডগ এই স্কোয়াডে যুক্ত হবে। বর্তমানে ডগ গুলি এক্সপ্লোসিভ সার্চ এর জন্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত হলেও অচিরেই নারকোটিক্স ডগ, ট্রাকিং ডগ, কারেন্সি স্নিফিং ডগও এই বহরে যুক্ত হবে বলে জানা যায়। এ সকল ট্রেনিং এ কারিগরি ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে সহায়তা করবে ঢাকার ইউএস এম্বাসি।

একটি পরিপূর্ণ ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে নাশকতা, মাদক চোরাচাল, স্বর্ণ চোরাচালন, মূদ্রা পাচার রোধে অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকবৃন্দ।

দৈনিক বগুড়া