বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘মাফ করে দিয়ো আব্বু-আম্মু’ সুইসাইড নোট লিখে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা

‘মাফ করে দিয়ো আব্বু-আম্মু’ সুইসাইড নোট লিখে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা

ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী। ফেসবুক আইডিতে ওই শিক্ষার্থীর নাম এসএম সাইমন। তিনি তিতুমীর কলেজের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

শনিবার রাতে মতিঝিলের একটি বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 
 

 

 

তিনি তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যারা সুইসাইড করে তাদের সবসময় ভীড়ু, কাপুরষ  বলে ভাইবা আসছি... যারা জীবন থেকে পালানোর সহজতম রাস্তা বাইছা নেয়.... কখনো ভাবি নাই নিজেই এমন অবস্থায় এসে দাঁড়াবো...

কিন্তু আমাদের সমাজ, আমাদের সিস্টেম, পারিপার্শ্বিক অবস্থা আজকে আমাকে এই জায়গায় দাঁড় করাইছে.... আমার মধ্যে এই অনুভূতি আজকে প্রবলভাবে কাজ করে যে আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না... আমি শুধুমাত্রই একটা বোঝা..... যার থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো...

একটা সময় নিজেকে নিয়ে প্রচুর কনফিডেন্ট ছিলাম.... এখন সেই জায়গায় কাজ করে হীন মন্যতা....

আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই.... খালি কিছু মানুষকে নিয়ে আফসোস... যারা নিজেদের স্কলার ভাবে, মানবিকতার হাদিস দেখায় শুধুমাত্র  নিজেদের স্বার্থ হাসিলের সময়.... তারা নিজেরাও জানে না তারা আসলে স্কলার না... আমার চেয়েও বড় বোঝা....

আফসোস তাদের প্রতি যারা বর্তমান নিয়ে ব্যস্ত.. ভবিষ্যৎকে নূন্যতম বিচারেও রাখে না...

আফসোস তাদের প্রতি... যারা একটা মাত্র সুযোগ দিতেও আগ্রহী নয়....

আশা ছিলো বাবা-মাকে পুরা বাংলাদেশ দেখানোর, ছোট ভাইটাকে আমার অপ্রাপ্তিগুলো পূরণ করানোর... কিছুই হইলো না.... মাফ করে দিয়ো আব্বু-আম্মু... তোমাদের ছেলে যে নিজের কাছেই হেরে বশে আছে.... মানুষের আত্মসম্মানবোধটাই জখন না থাকে তখন সে নিজের কাছেই মরে যায়... তাই আর অন্যদের জন্য বেঁচে থেকে কি লাভ! 

"আমি, এস এম মজিবুর রহমান সায়মন, সুস্থ মস্তিষ্কে, স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি... এর জন্য কেউ দায়ী নয়"

বিদায় পৃথিবী...

বিদায় সুশীল সমাজ....

বিদায় সমাজব্যবস্থা.. ‘

দৈনিক বগুড়া