বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বার্ষিক পরীক্ষার আগে শুরু হচ্ছে প্রাথমিকের পাইলটিং

বার্ষিক পরীক্ষার আগে শুরু হচ্ছে প্রাথমিকের পাইলটিং

বছরের শেষে শিক্ষার্থীরা যখন বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে, তখন পাইলটিংয়ের নামে তুলে দেওয়া হবে নতুন পাঠ্যবই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশের ৬৪টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থারটির সদস্য (প্রাথমিক) অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হাসান। তিনি বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগস্টের শেষ সপ্তাহে বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর লেখা প্রথম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পাইলটিং শুরু করা হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। তবে আগামী বছর প্রথম শ্রেণিতে পরীক্ষামূলক সংস্করণের পাঠ্যবই দেওয়া হবে। সারাবছর এর ওপর প্রতিবেদন নিয়ে ২০২৪ সালের জন্য চূড়ান্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা এর ওপর সারাবছর লেখাপড়া করে ও বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রথম-দ্বিতীয় ও বার্ষিক পরীক্ষা অন্যতম। পাঠ্যবই তিনভাগ করে বছরের শেষ তিন-চার মাসে বইয়ের শেষ অংশ পড়ে। কিন্তু সারাবছর শিক্ষার্থীরা আগের শিক্ষাক্রমে লেখাপড়া করে এলেও হটাৎ সেপ্টেম্বরে নতুন কারিকুলামে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বলছেন এতে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে।

তাছাড়া সামনের দু-এক মাসের মধ্যে আগামী বছরের নতুন পাঠ্যবই মুদ্রণে যাচ্ছে। ফলে এখন যে পাইলটিং শুরু হবে তার ফল আগামী বছর পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে এ পাইলটিং কেবল টাকা অপচয় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। কেননা ২০২৪ সালে যদি পরীক্ষামূলক সংস্ককরণের পাঠ্যবই দেওয়া হয় তাহলে এ পাইলটিং অপ্রয়োজনীয়।

এনসিটিবির সূত্র জানায়, উল্লেখিত পাইলটিং এবং নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই বাস্তবায়নের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি) থেকে। এ খাতে এরই মধ্যে প্রায় ২ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এখন বাকি টাকা পাইলটিংয়ে ব্যয় হবে। এই পাইলটিংয়ে অর্থ ব্যয় অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান দাবি করেন, নতুন বই লেখার জন্য ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অর্থ চাওয়া হয়। কিন্তু অনুমোদন পাওয়া গেছে গত এপ্রিলে। পরের মাসে বই লেখা শুরু হয়েছে। এ কারণেই এ বিলম্ব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন পাইলটিং হলেও এর থেকে প্রাপ্ত ফল কাজে লাগবে। কেননা বই তৈরির কাজ সারাবছর ধরেই চলে। আগামী বছর পরীক্ষামূলক সংস্করণের ফল হাতে আসার আগে পাইলটিংয়ের ফল নিয়ে গবেষণা করা যাবে।

দৈনিক বগুড়া