বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্লাক রাইস চাষে সফল রেজাউল!

ব্লাক রাইস চাষে সফল রেজাউল!

রাজবাড়ীতে ব্লাক রাইস বা কালো ধান চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা রেজাউল শেখ। অনলাইনের মাধ্যমে এই ধানের চাষ দেখে আগ্রহী হন তিনি। বাজারে এই ধানের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে আরো বড় পরিসরে এই ধানের চাষ করতে চান তিনি। তার সফলতা দেখে স্থানীয় অনকে কৃষক এই ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, কৃষি উদ্যোক্তা রেজাউল শেখ রাজবাড়ী জেলা সদরের দাদশী ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পরিক্ষামূলকভাবে ব্লাক রাইস চাষ করে সফল হয়েছেন। চারা রোপনের মাত্র ৮০ দিনের মধ্যেই ফলন পান তিনি। বর্তমানে তার জমিতে দোল খাচ্ছে কালো ধান। স্থানীয় বাজারে এই ধানের বীজ ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভের আশা করছেন তিনি। আর তার সফলতা দেখে অনেক কৃষক এই ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

কৃষক রেজাউল শেখ বলেন, আমি গত ৩০ বছর যাবত ধান, পাট, গমসহ নানা রকমের সবজির চাষ করছি। এবছর অনলাইনে দেখে ব্লাক রাইস চাষে আগ্রহী হই। প্রতিকেজি ৫০০ টাকা দরে এই ধানের বীজ সংগ্রহ করে আমার ১৫ শতাংশ জমিতে রোপন করি। কৃষি অফিস সব সময় পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা করেছে। বর্তমানে আমার জমিতে এই ধান দোল খাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ব্লাক রাইসের চাল একটু মোটা। আশা করছি বাম্পার ফলন পাবো এবং বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে লাভবান হতে পারবো। আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই ধানের চাষ করবো।

স্থানীয় কৃষক আফজাল বলেন, ব্লাক রাইসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমিও আগামীতের এই ধানের চাষ করবো। আশা করছি রেজাউল ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবে।

আরেক কৃষক মমিন মণ্ডল বলেন, আমি কৃষক রেজাউলকে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের ফসল ও সবজি চাষ করতে দেখি। এবছর ব্লাক রাইস বা কালো ধান চাষ করেছেন। তার জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। আগামীতে আমিও কৃষি অফিসের পরামর্শে এই ধান চাষ করবো।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এই চালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্লাভিনয়ের্ড বা এনথোসায়ানিন এর পরিমান বেশি থাকায় রং কালো হয়। এই ধানে চালের ভাত মানব শরীরের ক্যানসার, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ এবং ব্যাকটেরিয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

জেলার সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. বশির আহম্মেদ বলেন, চলতি মৌসুমে রাজবাড়ীতে কয়েকজন কৃষক এক একর জমিতে পরীক্ষামূলক ব্লাক রাইসের চাষ করছেন। এর পুষ্টিগুণ বেশি ও ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আশা করছি আগামীতে এর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব ধরনের সহযেগিতা করা হবে।

দৈনিক বগুড়া