শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছাদবাগান করে তাক লাগালেন সবুজ মিয়া!

ছাদবাগান করে তাক লাগালেন সবুজ মিয়া!

বাড়ির ছাদে পুষ্টি বাগান করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন সবুজ মিয়া। তিনি ছাদে টবে, ড্রামে, ফলের প্লাস্টিকের বাক্সে ও ইটের হালকা দেওয়ালের মাঝে অর্ধশত প্রজাতির শাক, সবজি, মসলা, ফল ও ঔষুধি গাছের বাগান করেছেন। বাগানে উৎপাদিত শাক-সবজি নিজে খান, প্রতিবেশীদের দেন এবং অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারেন।

জানা যায়, সবুজ মিয়া শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি এই উপজেলার টালকী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরতে আছেন। পাশাপাশি কাজের ফাঁকে নিজ বাড়ির ছাদে ফুল, ফল, শাক, সবজি, মসলা ও ফলের বাগান করেছেন। এছাড়াও ব্যাপক পরিমানে পেঁয়াজের চাষ করেছেন। রয়েছে আম, মালটা, কমলা, ড্রাগন, পেয়ারা, আমড়া ও আপেল কুল এবং সবজির মধ্যে টমেটো, বারোমাসি শিম, মিষ্টি লাউ। কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব পদ্ধতিতে নিরাপদ ভাবে চাষাবাদ করেন।

সবুজ মিয়া বলেন, আমি বেশ কয়েকবছর যাবত ছাদবাগান করেছি। আমি সারাবছরই বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল ও শাক-সবজির চাষ করেছি। চাকরির পাশাপাশি এই বাগানটি গড়ে তুলেছি। ছাদে উন্নত জাতের আম, মালটা, কমলা, ড্রাগন, পেয়ারা, আমড়া, পেঁপে, আপেল কুল এবং সবজির মধ্যে টমেটো, বারোমাসি ,শিম, মিষ্টি লাউ, বেগুন, টমেটো, পেঁপে, আমড়া, মরিচ ও অ্যালোভেরা, ঝিঙা, মরিচ, বারোমাসি মরিচ, করলা, ডাটা, বাঙি ও তরমুজসহ বিভিন্ন শাক-সবজি, ফুল-ফল রোপণ করে চাষ করছি।

তিনি আরো বলেন, এবছর ছাদে পেঁয়াজের চাষও করছি। পাশাপাশি রসুনও রয়েছে। আশা করছি প্রায় ১০০ কেজি পেঁয়াজ ও ১০-১৫ কেজি রসুন উৎপাদন হবে। ছাদ বাগানে উৎপাদিত ফুল-ফল ও শাক-সবজি একদিকে যেমন নিজের পরিবারের নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যদেরকে ছাদ বাগান করতে উৎসাহিত করছি।

আরেক ছাদবাগানি আব্দুল জুব্বার বলেন, আমি সবুজ মিয়ার দেখাদেখি আগ্রহী হয়ে ছাদে বাগান করেছি। আমি ছাড়াও আরো অনেকে তাদের ছাদে বাগান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শহরের মতো গ্রামেও দালান তৈরী হচ্ছে। ফলে কমে যাচ্ছে চাষাবাদের জমির পরিমান। বাড়ির মালিকরা ছাদে বাগান করে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল ও শাক-সবজি চাষ করে নিজেদের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছেন। বাড়ির ছাদে বাগান করায় ছাদের উপযুক্ত ব্যবহারের পাশাপাশি পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটবে ও বাড়তি আয়ের পথ সৃষ্টি হবে।

দৈনিক বগুড়া