বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাহুবলী টমেটো চাষে অহিদুলের বাজিমাত!

বাহুবলী টমেটো চাষে অহিদুলের বাজিমাত!

নীলফামারীতে নতুন জাতের বাহুবলী টমেটো চাষ করে লাভবান কৃষক অহিদুল। এই জাতের টমেটোর চাষ হবে কিনা? ফলন পাওয়া যাবে কিনা? এই সব অনিশ্চয়তার মাঝে তিনি সাহস নিয়ে চাষ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। স্বাদ, ওজন ও এর পুরত্ব বেশি হওয়ায় বাজারে এর বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি নামের মতোই ফলন হয়েছে।

জানা যায়, কৃষক অহিদুল নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অসুরখাই সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় বীজ ও সার সরবরাহ করা হলে তিনি তার বাড়ির পাশের ২০ শতাংশ জমিতে এই উচ্চ ফলনশীল ও বেশি মূল্যের টমেটোর চাষ করেন। কৃষি অফিসের মাছ কর্মীরা নিয়মিত পরিদর্শন করে থাকেন। ফলে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষক অহিদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা খেত থেকে টমেটো তুলছেন। এই জাতের টমেটোর চারা রোপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। তিনি গাছ থেকে টমেটো তুলে প্ল্যাস্টিকের ক্যারেটে রাখছেন। প্রতিটি ক্যারেটে ২১-২২ কেজি টমেটো রয়েছে। তিনি সপ্তাহে প্রায় দুই দিন তুলতে পারেন। আর একদিনে প্রায় ২০০ কেজির মতো সংগ্রহ করতে পারেন। ক্যারেট ভর্তি করে তিনি নিজেই বাজারে বিক্রি করে আসেন।

কৃষক অহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন এই জাতটি চাষ করতে শুধু জৈব সার ব্যবহার করেছি। কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করিনি। পোকামাকড়ের আক্রমন থেকে গাছকে বাঁচাতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করেছি।

তিনি আরো বলেন, এবছর আমাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। আমি আমার বাড়ির পাশের ২০ শতাংশ জমিতে ২০ হাজার টাকা খরচ করে নতুন জাতের বাহুবলী টমেটোর চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ৩০-৩৫ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। আশা করছি আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত ফলন পাবো এবং খরচের তুলনায় ৪-৫ গুণ বেশি টাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।

কৃষক অহিদুলের টমেটো খেত পরিদর্শন করে সন্তোস প্রকাশ ও প্রশংসা করেছেন রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটেড ডিরেক্টর ড. মো. আব্দুস সালাম।

সৈয়দপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহা বলেন, এই উপজেলার মাটিতে সব ধরনের সবজি ও ফসলের ভালো উৎপাদন হয়। নতুন এই জাতের টমেটো চাষে কৃষক অহিদুল সফল হয়েছেন। তার সফলতা দেখে আরো অনেক কৃষক এই জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি।

দৈনিক বগুড়া