শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাদাম চাষে লাভবান জীবননগরের চাষিরা!

বাদাম চাষে লাভবান জীবননগরের চাষিরা!

বাদাম একটি অত্যন্ত লাভজনক ফসল। এর চাষ পদ্ধতি খুবই সহজ ও খুব অল্প সময়েই ঘরে তোলা যায়। আর এর বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। চলতি বছর বাদাম গ্রাম খ্যাত চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃষ্ণপুরে বাদামের ব্যাপক ফলন হয়েছে। উৎপাদিত বাদাম ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

জানা যায়, জীবননগর উপজেলার কৃষ্ণপুরে চায়না জাতের বিনা ৪ ও বিনা বাদাম-৮-এর ফলন সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এর চাষ সহজ ও কম খরচে বেশি ফসল পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে এই গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীরা ফসল উত্তোলন ও পরিষ্কার করে তা বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উৎপাদিত বাদাম বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এখানকার উৎপাদিত বাদাম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয়।

উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, চলতি বছর এই উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এখানকার কৃষকের প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে বিনা-৪ ও বিনা-৮ জাতের বাদামের পাশাপাশি দেশীয় জাতের বাদামের আবাদ করেছেন।

কৃষ্ণপুরের চাষি জেহের আলী, আব্দুল হালিম, সাজ্জাদ হোসেন, ইসলাম বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম খানসহ একাধিক কৃষক বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামের চাষ খুব সহজ। আর এতে ফলনও বেশি পাওয়া যায়। দেশে সারাবছর বাদামের চাহিদা থাকায় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়।

তারা আরো বলেন, বীজ বপন থেকে ফলন পেতে তিন মাস সময় লাগে। আর বিঘাপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। আগের তুলনায় এখন বেশি রোগবালাইও নেই। বাজারে ভালে দামে বিক্রি করে বিঘা প্রতি ৪০-৫০ হাজার পর্যন্ত আয় করতে পারি।

চাষি জেহের আলী বলেন, চলতি বছর আমি ১২ বিঘা জমিতে বাদামের আবাদ করেছি। ফসল তোলা হয়েছে। নারী শ্রমীকদের দিয়ে গাছ থেকে মাটি ছাড়িয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এই ফসল চাষে আমার ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে বাদাম তুলে বাড়ি নিয়ে আসছি। আশা করছি দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার শিরিন সারমিন বলেন, রায়পুর ইউনিয়েনের কৃষ্ণপুর মাঠে পেঁয়ারা, বাদাম, ভুট্টা ও আলু সহ সব ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। তবে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামই বেশি চাষ হয়ে থাকে। কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল বিনা-৪ ও বিনা-৮ জাতের বাদাম করে থাকেন। আমরা চাষিদের মাঠ পর্যায়ে যেয়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

দৈনিক বগুড়া