শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগাম তরমুজ চাষে লাভবান বাউফলের চাষিরা!

আগাম তরমুজ চাষে লাভবান বাউফলের চাষিরা!

পটুয়াখালীর বাউফলে আগাম তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ভালো ফলন পেয়ে কৃষকরা খুশি। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি শুরু করেছেন। আগে বাজারজাত করতে সমস্যা হলেও পদ্মা সেতু হওয়ায় খুব দ্রুত সরবরাহ করতে পারেন। পাইকারদের মাধ্যমে এখানকার তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটেসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। এতে ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন।

জানা যায়, বাউফলের কৃষকরা ডিসেম্বর মাসে আমন ধান কাটার পর জানুয়ারিতে জমি তৈরী করে উচ্চফলনশীল তরমুজের বীজ বপন করেন। তারপর ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হয়। বীজ বপনের পর কৃষকরা তরমুজের ভালো ফলন পেয়েছেন। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে তরমুজ তুলে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন।

চর কালাইয়ার তরমুজ চাষি মো. রাসেল বলেন, আমি ৩ বছর যাবত তরমুজের চাষ করছি। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ৩৭ একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি। এতে ১০ একর জমিতে আগাম উচ্চফলনশীল জাতের তরমুজ চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ৩ একর থেকে আগাম জাতের ৯ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। এতে ৬ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি জমির তরমুজও বিক্রি করে ফেলবো।

আরেক তরমুজ চাষি মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, আমার নিজস্ব জমি নেই। তাই অন্যের কাছ থেকে ২ একর জমি লিজ নিয়ে আগাম জাতের তরমুজের চাষ করেছি। চাষে সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হলেও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে ৪ লাখ টাকার লাভ করতে পেরেছি।

অন্যান্য আরো চাষিরা জানায়, আমাদের এখানকার বড় সাইজের হয়। ওজনও বেশি থাকে। পাইকাররা প্রতিটি তরমুজ ১৫০-২০০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যায়। আর এখানকার তরমুজ ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, গত বছর বাউফলে ১ হাজার ৫৩২ হেক্টর জমিতে ৫২ হাজার ৮৮ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এ বছর ৩ হাজার ১৩১ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এর চাষের পরিমান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কম খরচে বেশি ফলন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারায় কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন বলেন, বাউফল উপজেলার চরাঞ্চলের মাটি উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উত্তম। ফলে বাউফল উপজেলায় তরমুজের আবাদ বেশি হয়। খরা ও উষ্ণ তামপাত্রা সহনশীলতা তরমুজের অনেক বেশি। তাই শুষ্ক, উষ্ণ ও প্রচুর সূর্যের আলো পায় এমন জায়গায় তরমুজ ভালো হয়ে থাকে।

দৈনিক বগুড়া