বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চৌবাচ্চায় রঙিন মাছ চাষে বিপ্লবের ভাগ্যবদল!

চৌবাচ্চায় রঙিন মাছ চাষে বিপ্লবের ভাগ্যবদল!

গাইবান্ধায় চৌবাচ্চায় রঙিন মাছ চাষ করে সফল বিপ্লব। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামে চৌবাচ্চায় রঙিন মাছের চাষ করে তিনি এমন সাফল্য পেয়েছেন। তার এ সফলতা দেখে অনেকেই রঙিন মাছ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আবার অনেকে স্বাবলম্বীও হয়েছেন।

জানা যায়, রঙিন মাছ চাষে বিপ্লব তার গ্রামে এ্যাকুয়া ফিশ ল্যান্ড নামে একটি খামার প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত খামারে এখন ১৩ জাতের ৩৬ প্রজাতির আকর্ষনীয় এবং বর্ণালী রঙিন মাছের চাষ করা হচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে মলি, গাপ্পি, প্লাটি, সোর্ডটেইল, জাপানী কইকার্প, বাটারফ্লাই কইকার্প, গোল্ডফিশ, এঞ্জেল, ফাইটার ইত্যাদি প্রজাতির মাছ। যন্ত্রাংশ, খামার ঘর সব কিছু মিলে তার খামারের মূল্যই আছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।

মৎস্য চাষি বিপ্লব বলেন, আমি ২০১৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী শহর বালুরঘাটে দেখতে পেলেন রঙিন মাছের একটি খামার। সেখান থেকেই চাষের পদ্ধতি, বাজারজাত করণের নিয়মসহ আনুষঙ্গিক নানা বিষয় শিখেছি। তারপর নিজেই রঙিন মাছ চাষের পরিকল্পনা করি।

তিনি আরো বলেন, চাকুরী ছেড়ে ২০১৫ সালে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বাড়ির পাশে দেড় বিঘা জমি লীজ নিয়ে গড়ে তুলেছিলাম রঙিন মাছের খামার। যেখানে মাছের ডিম থেকে রেনু ও পোনা উৎপাদন শুরু করি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ৩৫ হাজার টাকার খামারে এখন মাছই রয়েছে ৩৫ লাখ টাকার বেশি।

বর্তমানে মা মাছ পালন, ডিম সংগ্রহ, রেনু উৎপাদন ও পরিচর্যার জন্য স্বল্পপরিসরে সর্বাধুনিক যান্ত্রিক ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন বিপ্লব। তার এই খামারটি স্থানীয় ও আশে পাশের সবার কাছে এখন বেশ পারিচিত।

দৈনিক বগুড়া