শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেঘনার চরে সবজি চাষে কৃষকদের বাজিমাত

মেঘনার চরে সবজি চাষে কৃষকদের বাজিমাত

মেঘনার চরে সবজি চাষে কৃষকদের সাফল্য এসেছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সবজির ফলন ভাল হওয়ায় ব্যাপক সাফল্য পান চাষিরা। তাদের এই সাফল্য ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চরে সবজির চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে মেঘনার চরে সবজির চাষ করেন স্থানীয় কৃষকরা। আর এতেই সাফল্যের দেখা পান তারা। নদীর তীরে বালুর চরে সবজির চাষ কৃষকদের একটি কার্যকারী সিদ্ধান্ত ছিল। আর এই সবজির চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক।

কয়েক বছর আগেই মেঘনা নদীতে ভেঙ্গে গিয়েছিল স্থানীয় লোকজনদের জায়গা-জমি। এরপর এখানে গড়ে ওঠে বালুর চর। সেই বালুর চরেই সবজির চাষ করে সফল হয়েছেন ভিটেমাটি হারা লোকজন। চরের এই সবজির চাষ তাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

মেঘনা নদীর চরে এখন দেখা মিলছে টমেটো, খিরা, ধান, কুমড়া, লাউ, পালং শাক, মুলা, আলু, বেগুন, পিয়াজ, মরিচ, শসা, শিমসহ বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফসলের। এসব সবজির চাষ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় চাষিরা।

উপজেলার কৃষি অফিসার শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় মোট ৮৬৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ করা হচ্ছে। চরের এসব জমিতে টমেটো, সয়াবিন, খিরা, শশা, মরিচ ও লাউ চাষ করা হয়েছে।

চরের চাষি আব্দুল মজিদ বলেন, এই মৌসুমে সবজির চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি। চরে সবজির এমন ফলন হবে আমরা ভাবতেই পারিনি। আগামী বছর আরও বেশি পরিমাণ জমিতে সবজির চাষ করবো।

রায়পুরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলমগীর জানান, আগের মৌসুমগুলোর তুলনায় এই মৌসুমে সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সবজির ফলন ভাল হওয়ায় এই সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পরামর্শ ও তদারকি করছেন। 

দৈনিক বগুড়া