শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠা পালনে ঘুরেছে মফিদুলের ভাগ্যের চাকা!

পাঠা পালনে ঘুরেছে মফিদুলের ভাগ্যের চাকা!

রাজবাড়ীতে পাঠা পালন করে মফিদুল ইসলাম নিজের ভাগ্য বদলেছেন। করোনার সময় চাকরি হারানো পর তিনি পাঠার খামার করেন। বর্তমানে তার খামারে দেশি-বিদেশি প্রজাতির মোট ১৭টি পাঠা রয়েছে। পাঠা পালনের পাশাপাশি তিনি ছাগলের প্রজননও করান। বর্তমানে এই জেলায় তার পাঠার খামারটিই সবচেয়ে বড় বলে তিনি দাবি করেন।

জানা যায়, খামারি মফিদুল ইসলাম রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের চরশ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান গাভীর খামার শুরু করেছিলেন। পরে ব্যাভোসিস ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গরুগুলো মারা যায়। হতাশ না হয়ে তিনি ২০১১ সালে আবার গাভীর খামার করেন। সেসময় ডাইরিয়া জনিতে রোগের কারণে সব গরু মারা যায়। দুইবারে তার প্রায় কোটি টাকা লোকসান হয়। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তাকে জেল খাটতে হয়। তারপর ফরিদপুরে করা বাবুর্চির চাকরিটাও চলে যায় করোনার কারণে। অবশেষে তিনি তার দুই বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন পাঠার খামার। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে হরিয়ানা, মেওতি তোতা, বিটল, ব্ল্যাক বেঙ্গলসহ দেশি-বিদেশি ৭ জাতের ১৭টি পাঠা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা। এই খামারের কারণেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন আসে।

মফিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ করে গাভীর খামার করেছিলাম। সব ভেস্তে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ি। পরে পাঠার খামার করে সফলতা পাই। বর্তমানে আমার খামারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ১৭টি পাঠা রয়েছে। পাঠা বিক্রির পাশাপাশি আমি ছাগল প্রজননও করি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ১০-১৫ টি ছাগল প্রজনন করি। এতে ভালো টাকা আয় আসে। সরকারি ঋণ সহায়তা পেলে খামারের পরিধি আরো বড় করবো। বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর গ্রামের ছাগলের খামারি জিয়াউর রহমান বলেন, আমার খামারের ছাগলগুলোর প্রজনন মফিদুলের খামার থেকেই করাই। তার কাছে দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের পাঠা রয়েছে। যা এই জেলায় আর কোথাও নেই।

চরশ্যামনগর গ্রামের ছাদেকুর রহমান বলেন, পাঠার খামার করে মফিদুলকে স্বাবলম্বী হতে দেখে আমিও পাঠা পালন শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে ১১টি পাঠা রয়েছে। ভালো আয় করতে পারছি। আশা করছি খামার আরো বড় করতে পারবো।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, রাজবাড়ীতে পাঠার খামারের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ধারনা থেকে খামারিরা পাঠা পালন করছেন। মফিদুল ইসলাম প্রজনন ফি ও পাঠা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই ছাগল ও পাঠা পালনে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা খামারিদের প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই