বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাওরের জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে ওমর ফারুকের সফল্য!

হাওরের জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে ওমর ফারুকের সফল্য!

দেশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শাক-সবজির চাহিদা বাড়ছে। তারমধ্যে মিষ্টি কুমড়া অন্যতম। বিভিন্ন জেলা উপজেলার চাষিরা এই সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন। তেমনি কিশোরগঞ্জে হাওরের জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান কৃষক ওমর ফারুক। তিনি হত কয়েক বছর যাবত এই সবজি চাষে লাভবান হয় আসছেন। তাই এবছরও এর চাষ করে লাভের আশা করছেন।

জানা যায়, কৃষক ওমর ফারুক কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সাচাইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ৫ লাখ টাকা ঋণ করে ১১ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। চলতি বছর তার জমিতে ব্যাপক ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি ১০ লাখ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেছেন। তার এমন সফলতা দেখে এলাকার অনেক শিক্ষিত যুবক কুমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

কৃষক ওমর ফারুক বলেন, আমি প্রতি বছরের মতো এবছরও ১১ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। চাষে প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বছর এই জমিতেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে থাকি। গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন হয়েছে। ছোট ও মাঝারি সাইজের পাশাপাশি ১৫-২০ কেজি ওজনের কুমড়াও হয়েছে। জমি থেকে ১৫-২০ দিন পর পর বিক্রি করতেছি।

তিনি আরো বলেন, পাইকাররা জমিতে এসেই কুমড়া নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকার বিক্রি করেছি। জমিতে যা আছে তাতে আরো ৮-১০ টাকার কুমড়া বিক্রি করতে পারবো। আমি বিক্রি করার পাশাপাশি আত্মিয়-স্বজনদেরও দিয়ে থাকি। এখন অনেকেই আমার কাছে এই সবজি চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবদুস সাত্তার বলেন, চলতি বছর জেলায় ৯২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা ধানের চাষ ছেড়ে মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। কারণ ১ হেক্টর জমিতে ৬ টন ধান উৎপাদন হয়। আর ৩০-৩৫ টন মিষ্টি কুমড়ার ফলন হয়। এছাড়াও হাওরে বন্যা ও শিলাবৃষ্টির কারণে ধানের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।

তিনি আরো বলেন, মিষ্টি কুমড়ার চাষে খরচ কম ও উৎপাদন বেশি হয়। এছাড়াও বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। পাইকাররা জমি থেকেই নিয়ে যান এতে কৃষকের পরিবহন খরচ কমে। আমরা কৃষকদের পাশে আছি এবং যাবতীয় সহযোগিতা করছি।

দৈনিক বগুড়া