বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে লটকন চাষে স্কুল শিক্ষক মনিবুলের সাফল্য!

কুড়িগ্রামে লটকন চাষে স্কুল শিক্ষক মনিবুলের সাফল্য!

কুড়িগ্রামে লটকন চাষে স্কুল শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়া সফলতা পেয়েছেন। সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি পছন্দ করেনা এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও ভিটামিন সি জোগানে এই ফল বেশ কার্যকর। তিনি শখের বশে ১০-১২ বছর আগে লাগানো গাছে এখন ফলন পাওয়া গেছে। বর্তমানে তার বাগানের প্রতিটি গাছেই ফল এসেছে।

জানা যায়, স্কুল শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়া কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সুকদেব গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১০-১২ বছর আগে ১০৫টি লটকনের চারা তার সুপারি বাগানের ভেতরে সারিবদ্ধভাবে রোপন করেছিলেন। তারপর সময় মতো জৈব সার, সেচ ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করেন। চলতি বছর তার রোপন করা গাছের মধ্যে ৫৫টি গাছে ফল এসেছে। আশা করছেন গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন পাবেন। এছাড়াও অপ্রচলিত শ্রেষ্ঠ ফল চাষী হিসেবে তিনি ২০২২ ও ২০২৩ সালে কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সম্মাননা অর্জন করেছেন।

মনিবুল হক বসুনিয়া বলেন, আমি ১০-১২ বছর আগে প্রতি পিস চারা ৫ টাকা দরে ৫২৫ টাকা দিয়ে ১০৫টি চারা কিনে ছিলাম। তারপর আমার সুপারি বাগানের ফাঁকে ফাঁকে সারিবদ্ধভাবে চারাগুলো রোপন করি। প্রতি বছরই জৈবসার, সেচ ও নিড়ানি দিয়ে এসেছি। এবছর ৫৫টি গাছে ব্যাপক পরিমানে ফল ধরেছে।

তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় বছর বেশি ফলন পাবো। এছাড়াও গতবছর প্রতিমণ লটকন ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরেছিলাম। এবছর আশা করছি প্রতিটি গাছে দুই থেকে আড়াই মণ করে ফলন পাবো। দাম ভাল থাকলে এবছর ৬-১০ লাখ টাকার লটকন বিক্রি করতে পারবো।

স্থানীয় যুবক নজরুল ইসলাম নাজু বলেন, আমিও শিক্ষক মনিবুল হকের সুপারি বাগানে লটকন চাষ দেখে বাগান করেছি। আশা করছি আগামী দুই এক বছরের মধ্যে ফলন পাবো। একই গ্রামের বাসিন্দা লিটন মিয়া বলেন, যুবকরা এখন শিক্ষক মনিবুল হককে অনুস্বরন করছে। তার দেখাদেখি অনেকেই সুপারি বাগানে লটকনের গাছ রোপন করেছেন। তারাও মনিবুলের মতো সফল হওয়ার আশায় আছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, আমরা মনিবুলের বাগানটি পরিদর্শন করেছি। তিনি খুব যত্ন সহকারে তার বাাগনটির পরিচর্যা করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ফলন পেতে শুরু করেছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই লটকনের বাগান করতে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা সবাইকেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করবো।

দৈনিক বগুড়া