শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্যোক্তাদের জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান

উদ্যোক্তাদের জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান

নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা নীতিগত সহায়তা নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।

একটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সাহসী ঘোষণা দিয়ে বলেছেন আমরা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসা ৪০ শতাংশ জ্বালানি সরবরাহ করতে চাই। মুজিবের জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে, আমরা সহনশীল প্রকল্পে রূপান্তরিত করছি যা আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো সুযোগে পরিণত করবে।’

সম্প্রতি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (আইইউবি) ‘প্রিজারভ প্ল্যানেট আর্থ, ঢাকা-২০২৩’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিএডি)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্টের ভাইস-চেয়ারপারসন ওয়াসেকা আয়েশা খান।

সাবের হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ বৈশ্বিক নির্গমনের মাত্র শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ অবদান রাখছে। সুতরাং, আমাদের এই ক্রান্তিকালীন পরিবর্তনের খুবই প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা শূন্যের কোটায়। এই ভূমিকায় বিশ্বনেতা হবে বাংলাদেশ।’

সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

আয়েশা ওয়াসেকা খান বলেন, ৩০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের কার্যকর অগ্রগতি রয়েছে, যার মধ্যে ২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বেসরকারি খাতে অর্থায়নে এবং আরও ৬৫টি প্রকল্প বিবেচনাধীন।

তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে বাংলাদেশকে জ্বালানি প্রযুক্তি পরিহার করতে হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে আটকে থাকা সম্পদে পরিণত হতে পারে এবং ভর্তুকির ক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’

আইসিসিএডির পরিচালক অধ্যাপক সালেমুল হক, আইইইই সভাপতি অধ্যাপক সাইফুর রহমান, এসওএল শেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান গ্রো এবং নাসার অনুদান বিজয়ী ওয়াহিদুল হাসান প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনের আহ্বায়ক ছিলেন আইইউবির প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি কাইয়ুম খান।

আইইউবির চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান, বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিমও আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট পার্টনার’ হিসেবে প্রায় ৪৪টি যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব এই সম্মেলনে যোগ দেয়।

সম্মেলনটিতে স্পন্সর করেন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইইই), রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, প্রজেক্ট আরোধ্য এবং হেল্প সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন, আবদুল মোনেম গ্রুপ এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বাস্তবায়ন অংশীদার ছিল এনভোলেড লিমিটেড।

দৈনিক বগুড়া