বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ মায়ের ডাক্তারের বিরুদ্ধে তরুণীর মামলা

জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ মায়ের ডাক্তারের বিরুদ্ধে তরুণীর মামলা

নিজের মাকে ভুল সময়ে গর্ভধারণ এবং ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় সন্তান ভূমিষ্ঠ করার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ এনে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করে জিতে গেছেন এক তরুণী। এভি টোম্বিস নামের ২০ বছরের তরুণী ব্রিটেনের বাসিন্দা।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মেরুদণ্ডের কঠিন রোগে আক্রান্ত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ করার অনুমতি দেওয়ার কারণে শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে জন্ম হয়েছে এভির। জন্ম থেকেই স্পাইনা বিফিডা নামে রোগে আক্রান্ত এই তরুণী। মেরুদণ্ডের এই অসুখের জন্য কখনো কখনো ২৪ ঘণ্টায় টিউবের সাহায্য নিয়ে চলতে হয় এভিকে। আর এই ব্যাধির জন্যই চিকিৎসক ফিলিপ মিচেলকে আদালতে টেনে নিয়ে যান এই তরুণী।

চিকিৎসকরা বলছেন, স্পাইনা বিফিডা একধরণের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (এনটিডি) বা স্নায়বিক ত্রুটি। শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মেরুদণ্ড এবং স্পাইনাল কর্ড যদি ঠিকঠাকভাবে গড়ে না ওঠে, তখন স্পাইনা বিফিডা হয়ে থাকে। অভিযোগে এভি বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তার মাকে সঠিক পরামর্শ দেননি চিকিত্সক। যদি তিনি মাকে বলতেন তার সন্তান স্পাইনা বিফিডায় আক্রান্ত হতে পারে, আর সেই ঝুঁকি কমাতে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার এবং ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন, তা হলে হয়তো তার এই অবস্থা হতো না। তার মা নিশ্চয় ত্রুটিযুক্ত সন্তান গর্ভে ধরতে চাইতেন না কিংবা চাইতেন না এই সন্তানটি পৃথিবীতে আসুক।

লন্ডনের হাই কোর্ট একে একটি নজিরবিহীন মামলা বলে উল্লেখ করেছে। বিচারপতি বলেন. যদি সঠিক সময়ে এভির মাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হতো, তা হলে তিনি সন্তানধারণের বিষয়ে দেরি করতে পারতেন। শুধু তাই নয়, সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারতেন। এভির মাও একই অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

এভির মতে, তার মতো মানুষের জন্মানোই উচিত হয়নি। তাই সব রাগ গিয়ে পড়েছে মায়ের চিকিৎসকের উপরে। এভির আইনজীবী জানিয়েছেন, চিকিৎসককে কত টাকা জরিমানা করা হবে, তা এখনও নির্ধারণ করেনি আদালত, তবে সেটা বড়সড় অঙ্কই হবে। কারণ সেই টাকা দিয়েই এভির সারাজীবনের চিকিৎসা ও দেখভালের ব্যবস্থা হতে চলেছে।

দৈনিক বগুড়া