বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কামরাঙ্গার প্রাকৃতিক গুনাগুন

কামরাঙ্গার প্রাকৃতিক গুনাগুন

কামরাঙ্গা টক স্বাদযুক্ত বা টকমিষ্টি হতে পারে। কোন কোন গাছে একাধিকবার বা সারাবছরই ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন-এ ও সি এর ভাল উৎস। এছাড়াও আসুন কামরাঙ্গার কিছু অজানা উপকারিতা জেনে নেই।

এতে থাকে এলজিক এসিড, যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।

ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। এটা ত্বক মসৃণ করে। এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়। 

এই ফল পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত (সর্দিকাশি) সমস্যা সহজেই ভালো হয়ে যায়। এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। 

পেটের ব্যথায় এটা খেলে উপকার পাওয়া যায়। কামরাঙ্গা ফল ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের এবং ভাজযুক্ত। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ।  

 
কামরাঙ্গার উপকারিতা 

রক্ত পরিশোধনঃ 

কামরাঙ্গা রক্ত পরিশোধন করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলে আছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

বাতের ব্যথায়ঃ

২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়।

আর বাতের ব্যথায়ও এটা বেশ উপকারি।  

রুচি ও হজমশক্তিঃ 

এটি মুখের রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খুব উপকারি। কামরাঙ্গায় আছে এলজিক এসিড। এটি অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাঃ 

এটা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। দীর্ঘদিনের জমাট সর্দি বের করে দিয়ে কাশি উপশম করে। শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুব উপকারি।

কৃমি নিরাময়ঃ

কামরাঙ্গার পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়। কৃমির সমস্যা সমাধানে কামরাঙ্গা ফলও উপকারি। কামরাঙ্গার রসের সাথে নিমপাতা মিশিয়ে খেলে কৃমি দূর হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ  

এতে থাকে এলজিক এসিড যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোগেঃ

এটা আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। 

স্কার্ভিক্যাল রোগ প্রতিরোধেঃ

ভিটামিন সি ভালো পরিমাণে থাকায় এটি স্কার্ভিক্যাল রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি দাঁত, মাড়ি ও হাড় সুস্থ রাখে।

ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায়ঃ

রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা থাকায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও ঠাণ্ডাজনিত অন্যান্য সমস্যায় এই ফল প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

ডায়াবেটিসঃ 

যাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে তারা নিয়মিত কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাবেন।

কামরাঙ্গার রাসায়নিক উপাদান

কামরাঙ্গায় যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য- 

শর্করা, চিনি, খাদ্যে ফাইবার, স্নেহ পদার্থ , প্রোটিন , প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, বি৫, ফোলেট বি৯, ভিটামিন সি, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ,দস্তা ,ইত্যাদি।

দৈনিক বগুড়া