শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কাফির লেবুর অনেক গুণ

কাফির লেবুর অনেক গুণ

সংগৃহীত

অ্যারোম্যাটিক যতগুলো হার্বস থাই কুজিনে ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো কাফির লেবু। মোহনীয় অ্যারোমা এবং ফ্লেভারে ভরপুর প্যাকেজ যেন এই কাফির লেবু। লেবুর মতো মনে হলেও অনেকদিক থেকেই লেবুর সঙ্গে ভিন্নতা রয়েছে এর, যার অনেক কিছুই অজানা আমাদের। আসুন জেনে নেয়া যাক।

কাফির লেবু (Citrus hystrix), যাকে ইংরেজিতে অনেকসময় ম্যাকরুট লাইম অথবা মরিশাস পাপেডা নামে ডাকা হয়। এই লেবুর গাছ কাঁটাযুক্ত ঝোঁপজাতীয়, ৬ থেকে ৩৫ ফুট উঁচু, সুগন্ধিত, বিশেষ আকৃতির পাতাবিশিষ্ট। ফলের খোসা অমসৃণ, কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পরিপক্ব দশায় হলুদ রঙের হয়। বাহ্যিক চেহারা এবং ছোট আকারের কারণে একে সহজে আলাদা করা যায়। ফলের প্রস্থ ৪ সেন্টিমিটার। এর ফল এবং পাতা দক্ষিণ এশীয় রন্ধনশৈলীতে এবং নির্যাস তেল সুগন্ধি শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এই গাছ বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,থাইল্যান্ড এবং ফিলিপাইনসহ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে। কাফির লেবুর ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।

উপকারিতা:

১৷ কাফির লেবুতে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল থাকায় অতিরিক্ত ওজন কমাতে, হজম শক্তি বাড়াতে এবং লিভারের ময়লা পরিষ্কারে সাহায্য করে।
২। এতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড, ক্যালসিয়াম ও লিমলিন থাকে, যা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩। ভিটামিন সি-এর বড় উৎস বলে পাকস্থলী ও হৃদপিণ্ড এর বিভিন্ন রোগসহ সর্দি-কাশি, জ্বর, ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ ও হাইপারটেশনে কাফির লেবু খুব ভালো উপকার দেয়।
৪। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যায়, কাফির লেবু সব ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫। সকাল বেলা কাশির কাফির লেবুর রস খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে।
৬। কাফির লেবু খাবারের অনিহা দূর করে খাবারের প্রতি রুচি বাড়ায়।
৭। কিছু এশীয় দেশে এই ফলের রস এবং খোসাবাটা প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়। উকুননাশক হিসেবে শ্যাম্পুতে এমনকি কাপড় পরিষ্কার করতে এই লেবুর রস ব্যবহার করা হয়।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ