বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তালেবানের অগ্রযাত্রা রুখতে আফগানিস্তান নৈশকালীন কারফিউ জারি

তালেবানের অগ্রযাত্রা রুখতে আফগানিস্তান নৈশকালীন কারফিউ জারি

সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবানের অগ্রযাত্রা রুখতে প্রায় সারা দেশে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার। শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির প্রশাসন।

শনিবার আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গভীর রাতে তালেবান যোদ্ধাদের হামলা থেকে দেশের শহরগুলোতে রক্ষা করতে ৩১টি প্রদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের মোট ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে মাত্র তিনটি ছাড়া বাকি ৩১টি প্রদেশে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই প্রদেশগুলোতে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কেউই ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। এছাড়া কারফিউয়ের আওতার বাইরে থাকা তিনটি প্রদেশ হচ্ছে- কাবুল, পাঞ্জশির এবং নানগারহার।

এটা খুব পরিষ্কার যে, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল দীর্ঘদিন থেকেই দিনের বেলা সরকার নিয়ন্ত্রণ করলেও রাতের বেলা সে স্থানগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তালেবানরা। এটি ঠেকাতেও এমন পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে আফগান সরকার। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেনাদের প্রত্যাহার শুরুর পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নিতে শুরু করে তালেবান গোষ্ঠী।

গত কয়েকমাস থেকেই দেশটিতে সরকারি বাহিনী ও তালেবানদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলেছে। লড়াইয়ে দেশের ৮৫ শতাংশ এলাকা দখল করে নেয়ার দাবি করেছে তালেবান। এরই মধ্যে জনবহুল অনেক এলাকায় সরকারি সেনা ও তালেবান অস্ত্রধারীদের মধ্যে যুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু কিছু এলাকায় আফগান সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অনেক স্থানীয়রা। তারাও তালেবান রুখতে একসঙ্গে কাজ করার কথা জানাচ্ছে।

কারদান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ফাহিম সাদাত আল জাজিরাকে বলেন, সরকার তার নজরদারি বাড়াতে একটি অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে চলাচল সীমাবদ্ধ রাখতে চায়।

তিনি বলেন, এই কারফিউ জনগণকে একটা বার্তা দিতে চায়, লড়াই একেবারে দরজায় এসে পৌঁছেছে। এই সময় স্থানীয়দের উচিত হবে সরকারকে সমর্থন দিয়ে তালেবান মোকাবিলা করা।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: