শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এক বাসে কলকাতা থেকে লন্ডন!

এক বাসে কলকাতা থেকে লন্ডন!

এক বাসেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে যাওয়া যেত যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন! গত শতাব্দীর ষাটের দশকে ৭ হাজার ৯৯৭ কিলোমিটার পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতো অ্যালবার্ট নামের একটি ডাবল ডেকার বাস।তখন অবশ্য কলকাতা পরিচিত ছিল ‘ক্যালকাটা’ নামে। সেসময় বিশ্বের দীর্ঘতম অর্থাৎ সবচেয়ে লম্বা বাসরুট এটিই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, পশ্চিম জার্মানি, অস্ট্রিয়া, যুগোস্লাভিয়া, বুলগেরিয়া, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তান হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছাত ওই বাসটি। এরপর তৎকালীন বার্মার রেঙ্গুন (বর্তমানে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন) হয়ে থাইল্যান্ড, তৎকালীন মালয়, সিঙ্গাপুর হয়ে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাত বাসটি।এর আগেও একাধিকবার ইতিহাসের পাতা থেকে উঁকি দিয়েছে অ্যালবার্ট। তবে ব্যাপারটি সত্যি কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। কিন্তু গত বছর প্রকাশিত একটি ছবিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

যেখানে দেখা যাচ্ছে, লন্ডনের ভিক্টোরিয়া কোচ স্টেশন থেকে কলকাতাগামী ওই বাসে উঠছেন যাত্রীরা। ২০২০ সালের জুনে প্রকাশিত ওই ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল। তাছাড়া বাসের একটি বিজ্ঞাপনও ভাইরাল হয় অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে। ১৫ বার কলকাতা থেকে লন্ডনের গন্তব্যে পৌঁছেছিল ওই বাসটি।একসময় টাইটানিককে স্বপ্নের জাহাজ বলা হতো। অ্যালবার্টের জৌলুসও কিন্তু কম ছিল না। ডাবল ডেকার ওই বাসটিতে সবরকম সুযোগ-সুবিধা ছিল।

যাতায়াত ছাড়াও ওই বাসে থাকার বন্দোবস্ত ছিল। এছাড়া খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল বাসটিতে। অ্যালবার্ট ট্যুরের বিজ্ঞাপনে সে বছর লেখা হয়েছিল, ‘You Gain... Freedom Of Movement Within The Bus (You Are ever Tied To A Seat). Independence From Hotels, Camp Sites, Inclement Weather.’যার আক্ষরিক অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘এই বাসে আপনি চলাফেরার স্বাধীনতা পাচ্ছেন। এমনকি বাসের সিটের মধ্যেই আটকে থাকতে হবে না আপনাকে। হোটেল, ক্যাম্প সাইট, মন্দ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে হবে না।’

কলকাতা থেকে লন্ডনগামী ওই বাসের লোয়ার ডেকে ছিল রিডিং কাম ডাইনিং স্যালন, আপার ডেকে ছিল ফরোয়ার্ড অবজারভেশন লাউঞ্জ। এছাড়াও খাওয়ার জন্য গ্যালারি ছিল। রেডিও কিংবা রেকর্ডেড মিউজিকসহ হিটারের ব্যবস্থাও ছিল ওই বাসে।১৯৭২-৭৩ সালের ট্যুরের সময় তৎকালীন বেনারসের ঘাট থেকে আগ্রার তাজমহল, খাইবার পাস, দ্য রাইন ভ্যালির মতো স্থান ঘুরিয়ে দেখিয়েছে বাসটি।

প্রশ্ন উঠতে পারে কলকাতা থেকে লন্ডন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই ভ্রমণের ভাড়া আসলে কত ছিল। ইন্ডিয়া টাইমসের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে সময় ওই বাসের নূন্যতম ভাড়া ছিল ৮৫ পাউন্ড। অর্থাৎ লন্ডন থেকে কলকাতায় আসার জন্য যাত্রীপ্রতি সাত হাজার ৮৮৯ টাকা খরচ করতে হতো।তৎকালীন বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই খরচ যে বেশ চড়া সেটি বলাই বাহুল্য। খাওয়াদাওয়া সহ অন্য সব সুযোগ-সুবিধার জন্য খরচ করতে হতো ১৪৫ পাউন্ড। এদিকে কলকাতা হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য খরচ হতো ২৯০ পাউন্ড।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই