
সংগৃহীত
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ–সংকট মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে ভাসমান সোলার ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার কম খরচে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে আফ্রিকাও ভাসমান সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র বা ফ্লোটিং সোলার ফটোভোলটাইকস চালুর জন্য গবেষণা শুরু করেছেন। বিশেষ এ পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে আফ্রিকাজুড়ে বর্তমানে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের চেয়ে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতালির পোলটিটেকনিকো দ্য মিলানোর বিজ্ঞানীদের তথ্যানুযায়ী, ভাসমান সোলার খুব সুবিধাজনক, কারণ এটি পানির ওপর ভাসিয়ে রাখা যায়। যদি বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সোলার প্যানেলও যোগ করা যায়। এই পদ্ধতি নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য খুবই কার্যকর।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ভাসমান সোলার প্যানেলের মাধ্যমে জলবিদ্যুতের উৎসের ওপর চাপ কমাতে চেষ্টা করছেন। কেননা জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে পরিবেশগত বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি হলেও ফ্লোটিং সোলার ফটোভোলটাইকস বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন সৌর প্যানেলকে পানির উৎসের ওপর ভাসিয়ে রাখা হয়। কোনো স্থায়ী কাঠামোর প্রয়োজন হয় না। যেসব উষ্ণ অঞ্চলে জমি দুষ্প্রাপ্য বা ব্যয়বহুল, সেখানে এই পদ্ধতিতে কার্যকরভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ আছে।
বিজ্ঞানী ওয়াট আরনল্ড বলেন, ‘নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প ও টেকসই প্রযুক্তি হিসেবে এই পদ্ধতি বেশ ভালো। বড় জলবিদ্যুৎকেন্দ্রে বাঁধের কারণে পরিবেশ ও সামাজিক ঝুঁকি থাকে। অনেক দেশ তাদের দ্রুত ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা মেটাতে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে বা পুরোনো কেন্দ্র সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। ফ্লোটিং সোলার ফটোভোলটাইকস বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি কার্যকর বিকল্প বা পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে। আপাতত জামবেজি জলপথে আমরা এই কাঠামো তৈরি করছি। জামবেজি জলপথটি আফ্রিকার একাধিক দেশকে যুক্ত করেছে।
জামবেজি নদী আফ্রিকার চতুর্থ দীর্ঘতম নদী। এ নদীতেই বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের অবস্থান। এ নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়েতে জলবিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে ফ্লোটিং সোলার ফটোভোলটাইকস পদ্ধতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ