শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

৯৯ বছর বয়সেও মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন

৯৯ বছর বয়সেও মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন

সংগৃহীত

এতসুরো ওয়াতানাবে। বাড়ি জাপানের ইয়ামানাশি প্রদেশে (প্রিফেকচারে)। বয়স ৯৯ পেরিয়ে ১০০ বছর ছুঁই ছুঁই। এই বয়সেও পুরো কর্মক্ষম তিনি। এই দন্তচিকিৎসকের চিকিৎসায় হাসি ফুটছে অনেক মানুষের মুখে।

স্বীকৃতিও পেয়েছেন এতসুরো। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ দন্তচিকিৎসকের তকমা এখন তাঁর দখলে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে তাঁর।

সম্প্রতি গিনেসের ওয়েবসাইটে এতসুরো ও তাঁর কাজ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, স্বীকৃতি পাওয়ার সময় এতসুরোর বয়স ছিল ৯৯ বছর ১৩৩ দিন। এত বছর বয়সে আর কোনো দন্তচিকিৎসক পুরো কর্মক্ষম থাকেননি। এই দিক থেকে এতসুরো অনন্য।

ইয়ামানাশির ওশিনো গ্রামে ১৯২৪ সালের ৩১ অক্টোবর এতসুরোর জন্ম। বাড়ি ছেড়ে ১৫ বছর বয়সে টোকিওতে চলে এসেছিলেন তিনি।

একটি চিকিৎসালয়ে দন্তচিকিৎসকের শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতেন। রাতের বেলায় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন।

১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এতসুরো। চীনে চলে যান তিনি। আহত সেনাদের চিকিৎসা দিতেন সেখানে। যুদ্ধ শেষে জাপানে ফিরে দন্তচিকিৎসাকেন্দ্রে টেকনিশিয়ানের কাজ শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দন্তচিকিৎসায় পড়াশোনা শুরু করেন এতসুরো। চার বছর পর পুরোদস্তুর চিকিৎসক হয়ে যান।

এরপর বছর চারেক বিভিন্ন জায়গায় সেবা দিয়েছেন এতসুরো। পরে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। ১৯৫৩ সালে সেখানে ক্লিনিক খুলে মানুষকে সেবা দেওয়া শুরু করেন। তখন থেকে এখনো তাঁর এই কাজ চলছে। ওশিনো গ্রামের একমাত্র দন্তচিকিৎসালয়টি শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই এতসুরো চালান।

ব্যক্তিজীবনে পাঁচ মেয়ের জনক এতসুরো। সংসারে আটজন নাতি–নাতনি এবং চারজন প্রপৌত্র রয়েছে তাঁর। অবসরে বাগান করা পছন্দের কাজ। এতসুরো মনে করেন, তাঁর দীর্ঘজীবনের রহস্য স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার। আর এটাই তাঁকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রেখেছে।

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ: