![বাংলাদেশে যে গ্রামে মেয়েরা যুবতী হলেই সৎবাবা স্বামী হয়ে যায় বাংলাদেশে যে গ্রামে মেয়েরা যুবতী হলেই সৎবাবা স্বামী হয়ে যায়](https://www.dainikbogura.com/media/imgAll/2024February/Screenshot_21-2402111146.jpg)
সংগৃহীত
বিশ্বের প্রতিটি দেশে বিয়ে নিয়ে নিজস্ব রীতিনীতি ও ঐতিহ্য রয়েছে। এর মধ্যে কিছু নিয়ম এমন যা কখনোই সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। আবার কিছু বিবাহের নিয়ম সত্যিই মানুষকে অবাক করে তোলে। আসলে বাংলাদেশের মান্ডি উপজাতি মানুষের মধ্যে এমন একটি কু-প্রথা দেখা যায়।
আসলে বাংলাদেশের এই উপজাতি গ্রামে একজন বাবা তার মেয়েকে বিয়ে করে তার স্বামী হন। এটি একটি জঘন্য প্রথা বললেও ভুল হবে না। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মান্ডি উপজাতি পিতা-কন্যার বিবাহ সেখানকার একটি ঐতিহ্য হলেও, খুবই জঘন্য। এটি একটি কু-প্রথার মত হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, একজন পুরুষ যদি কোন অল্পবয়সী বিধবা মহিলাকে বিয়ে করে, তবে ভবিষ্যতে সে তার নিজের মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করা হয়। কিন্তু সেই মহিলাকে বিয়ে করার পাশাপাশি তার মেয়েকে যদি বিয়ে না করে, তাহলে সমাজে সে সৎকন্যা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রচুর সমালোচনাও হয়।
এই অল্পবয়সী মেয়েরা যাকে ছোটবেলায় পিতা মনে করেন, পরবর্তীতে সে তার স্বামী হয়। এই কু-প্রথার কারণ এই যে একজন মহিলা যখন অল্প বয়সে বিধবা হয় এবং সে তার কন্যা সন্তানসহ অন্য পুরুষকে এই শর্তে বিয়ে করে যে ভবিষ্যতে তার মেয়েও এই ব্যক্তির স্ত্রী হবেন এবং স্ত্রী হওয়ার জীবনযাপন করবেন।
এই ক্ষেত্রে সৎবাবা কেবল তার সৎকন্যার স্বামীই হন না, তিনি তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারেন। তবে প্রকৃত পিতারা এই কু-প্রথায় জড়িত হতে পারেন না। মান্ডি উপজাতিদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মা এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে অন্য পুরুষের সান্নিধ্যে আসতে হয়।। বাংলাদেশ থেকে এই প্রথা বিলুপ্ত হলেও আজও তা অনুসরণ করা হয় বলে কেউ কেউ দাবি করেন।
সূত্র: zoombangla