মুজিববর্ষ উপলক্ষে বগুড়ার শেরপুরে ভূমিহীনদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্যোগ সহনীয় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবির। শুক্রবার (০৯জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর বুড়িগাড়ি খালের ধারে গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পটি সরেজমিন পরির্দশনে আসেন তিনি।
এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবার রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন, শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলামসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবির আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাঁদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে। এছাড়া খালের তীর সংরক্ষণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু হয়েছে। এটি করা হলে আশ্রয়ণের মাটি ধসে যাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। সবমিলিয়ে এই আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতেই উপজেলার খানপুর বুড়িগাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাইশটি আধা পাকা বাড়ির মধ্যে আটটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের পেছন পাশের মাটি ধসে খালে পড়ে যাওয়ায় বসবাস শুরু আগেই ওইসব বাড়ির ঘরগুলো ভেঙে পড়ে। আটত্রিশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয়ে বাইশটি ভূমিহীন পরিবারকে পুর্নবাসনের জন্য উক্ত আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পাঁচ মাস যেতে না যেতেই ঘর ভেঙে পড়ায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই ঘটনাটি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনে শুরু হয় তোলপাড়। একপর্যায়ে দায়িত্বহীনতা অভিযোগে তৎকালিন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ওএসডি করা হয়।
দৈনিক বগুড়া