উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ বেসরকারী সৈয়দ আহম্মদ কলেজ চত্বরে অবশেষে বিরল প্রজাতির ২টি পারুল গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় বিরল প্রজাতির পারুল গাছের চারা সংক্রান্ত একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সৈয়দ আহম্মদ কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার টাকায় ২টি পারুল গাছের চারা সংগ্রহ করা হয়।
সোনাতলা পৌর এলাকার গড়ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ আকন্দের জ্যেষ্ঠ পুত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ ও রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. আজাদুর রহমানের সহযোগিতায় তার আপন সহোদর বৃক্ষ প্রেমিক একেএম দিদারুল ইসলাম সজল (৪২) অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে ওই বিরল প্রজাতির পারুল গাছের বীজ ও শিকড় থেকে ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে গড়ে তোলা বারাম খানার চত্বরে ৯টি চারা গজিয়েছিলেন। সেই ৯টি চারার মধ্যে থেকে ২টি চারা সৈয়দ আহম্মদ কলেজ কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করেন।
বিলুপ্ত প্রজাতির এই বিরল পারুল গাছটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শুধু বগুড়ার সোনাতলায় ছিল। এখন ওই গাছের চারা সোনাতলা উপজেলার সীমান্তবর্তী সৈয়দ আহম্মদ কলেজ চত্বরে রোপন করা হয়েছে। বৃক্ষ রোপন করেন অত্র কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা রওনক জাহান। এ সময় অত্র কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুজ্জামান সহ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুজ্জামান জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তার কলেজ চত্বরে বিরল প্রজাতির ওই বৃক্ষটি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর চারা দুটি সোনাতলার গড়ফতেপুর গ্রামের বৃক্ষ প্রেমিক একেএম দিদারুল ইসলাম সজলের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকায় সংগ্রহ করে কলেজ চত্বরে তা রোপন করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় ১শ বছর পূর্বে সোনাতলা সরকারী নাজির আকতার কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও জমি দাতা সৈয়দ নুরুল হুদার পিতা সৈয়দ নাজির আলী পেশায় ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার। তিনি ভারতের ভাগলপুরে বিট্রিশ শাসনামলে চাকুরি করেছেন। প্রায় ১শ বছর আগে তিনি পারুল গাছের দুইটি চারা সেখান থেকে এনে সোনাতলা সরকারী নাজির আকতার কলেজ ক্যাম্পাসে রোপন করেন।
দুইটি চারার মধ্যে একটি গাছের চারা মারা যায়। আরেকটি গাছ এখনও জীবিত রয়েছে। গাছটির বয়স হয়েছে একশ’ বছর। এটি একটি বিরল প্রজাতির বৃক্ষ। এশিয়া মহাদেশে দ্বিতীয় আর কোথাও এই গাছের সন্ধান খুঁজে পাননি প্রাণী ও উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক গণ।
দৈনিক বগুড়া