বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাতলায় হাটে বাজারে প্রচুর দেশী মাছের আমদানী

সোনাতলায় হাটে বাজারে প্রচুর দেশী মাছের আমদানী

করোনা কালেও বগুড়ার সোনাতলার জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন ঘরে বসে নেই। তাদের জালে প্রতিদিন ধরা পড়ছে দেশীয় জাতের হরেক রকমের মাছ। এসব মাছ উপজেলার হাটে-বাজারে প্রচুর আমদানী করা হচ্ছে।

বেচা বিক্রিতেও খুশি জেলে সম্প্রদারে মানুষ। দাম ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে থাকলে দেশীয় মাছ কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। যমুনা ও বাঙালী নদী বেষ্টিত উপজেলা সোনাতলা। জেলা সদর থেকে প্রায় ৩১ কিলোমিটার উত্তরে ওই উপজেলার অবস্থান। এছাড়াও রয়েছে বাঙালী নদীর শাখা নদী সুখদহ। রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল। এসব নদী নালা ও খালবিলে প্রতিদিন জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন বিপুল পরিমাণ দেশীয় মাছ মোয়া, পাতাশী, পুঁটি, টেংরা, চিংড়ি, কানচ, মাগুর, বোয়াল, কই, শাটি, বালে, গচি, বাম, শোল তাদের জালে ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করে।

গতকাল সোমবার সরজমিনে উপজেলার চরপাড়া হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ওই হাটে প্রায় ৩০ জন জেলে দেশীয় জাতের মাছ বিক্রি করছে। মাছের আকার ও আকৃতির উপর মূল্য নির্ধারণ করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় জাতের মাছ। তবে গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে দেশীয় মাছের প্রচুর আমদানী হলেও দাম যেন ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। প্রতি কেজি বোয়াল মাছ আকৃতি অনুযায়ী ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার মোয়া, পাতাশী, টেংরা প্রতি কেজি ৬শ টাকা থেকে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কানছ ও মাগুর ৬শ টাকা থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কই, শাটি, বালে ২শ টাকা থেকে ৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বাম শোল ৪শ টাকা থেকে ৬শ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে চরপাড়া হাটে মাছ কিনতে আসা বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম মাষ্টার, নারুলী এলাকার রায়হান কবীর মাষ্টার, বৃন্দাবন পাড়ার মোর্শেদা জাহান পাপিয়া, ঠনঠনিয়া এলাকার ব্যবসায়ী জিএম আলী হাসান, জহুরুল নগর এলাকার শামীমা আকতার বিউটি জানান, তারা মাঝে মধ্যে নদীর টাটকা মাছ কেনার জন্য সোনাতলার চরপাড়াহাট সহ যমুনা ও বাঙালী নদী পাড়ে মাছ কেনার জন্য আসেন। তারা আরও জানান, শহরের তুলনায় গ্রামে মাছে দাম বেশি।

তবে মাছ পাওয়া যায় টাটকা। এ বিষয়ে মাছ ব্যবসায়ী বীরেন চন্দ্র রায়, অতুল চন্দ্র, ধীরেন্দ্র নাথ রায়, বৃষ্ণ রায় জানায়, নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিদিন যমুনা ও বাঙালী নদীতে প্রচুর দেশী মাছ ধরা পড়ছে। আমদানী বেশী হলেও বেশী দামে তাদের মাছ কিনতে হচ্ছে। ফলে বিক্রি করতেও হচ্ছে শহরের চেয়ে একটু বেশী দামে। এতে তাদের লাভও হচ্ছে বেশ ভালো।

উল্লেখ্য, প্রতিদিন জেলা শহর সহ আশ পাশের উপজেলার অসংখ্য মানুষ দেশী মাছ কেনার জন্য মোটর সাইকেল, মাইক্রো যোগে বগুড়ার সোনাতলার হাটে বাজারে আসে।

দৈনিক বগুড়া