বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ার কৃষি অর্থনীতিতে মরিচও এখন ফ্যাক্টর

বগুড়ার কৃষি অর্থনীতিতে মরিচও এখন ফ্যাক্টর

বগুড়ার বিখ্যাত লাল ঝাল মরিচ এখন স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ও ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। কেবল শীতকালীন রবি মওশুমেই এ জেলায় উৎপাদন হচ্ছে ৮০০ কোটি টাকার শুকনো লাল মরিচ। দামের দিক দিয়ে শুকনো মরিচের দাম মন প্রতি ৪ থেকে ৬ হাজার টাকায় ওঠে। মুলত রবি মওশুমেই শুকনো মরিচ উৎপাদন হয় বলে বন্যার ক্ষতি থেকে রেহাই পায় মরিচ চাষিরা।

বগুড়ার কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী শীতকালীন রবি মওশুমে বগুড়ায় ৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়। মোটামুটি পরিস্থিতি অনুকুল থাকলে গড়ে ১৭ হাজার মেট্রিক টন শুকনো লাল মরিচ উৎপাদন হয়।

ওই পরিমাণ মরিচের বাজার মুল্য দাঁড়ায় ৮০০ কোটি টাকা। এছাড়া খরিফ মওশুমেও এখন কাঁচা মরিচের চাষ হয়। চলতি বছরে বগুড়ায় ১২ উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষি বিভাগের ধারণা মতে প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন কাঁচা মরিচের উৎপাদন হবে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মরিচ চাষি জামাল হোসেন বলেন, আগত শুধু সারিয়াকান্দি,সোনাতলা ও গাবতলি ও ধুনট উপজেলায় হতো মরিচের আবাদ। এখন শেরপুর, শাজাহানপুর,নন্দীগ্রাম ও বগুড়া সদরেই হচ্ছে মরিচের চাষ।

রাজাবাজার কাঁচামালের আড়তদার পরিমল কুমার জানালেন, মরিচের চাষাবাদ যত বাড়বে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ কমে আসবে সাশ্রয় হবে ডলারের।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে গত শ্রাবন মাসে বগুড়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ২০০ টাকায় ওঠে। ফলে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের চালান আনতে হয়। এর ফলে দাম কমে আসে।
চলতি ভাদ্র মাসেই মাঝামাঝি সময় থেকে বগুড়ার ক্ষেতের মরিচ বাজারে আসতে শুরু করবে।এতে করে শুধু বগুড়া নয় সারাদেশেই মরিচের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার কাঁচামালের পাইকারি আড়তদারগন।

দৈনিক বগুড়া