বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারগন্জ-সারিয়াকান্দি নৌরুটে সি-ট্রাক সার্ভিস বন্ধ

মাদারগন্জ-সারিয়াকান্দি নৌরুটে সি-ট্রাক সার্ভিস বন্ধ

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালিতলা-জামথল নৌ রুটে যমুনা নদীতে সি-ট্রাক চলাচল চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
১২ আগষ্ট জামথল ও কালিতলা ঘাটের মধ্যে প্রতিদিন একবার করে ‘শহীদ আবদুর রউফ সেরনিয়াবাত’ নামে সি-ট্রাক চলাচল শুরু হয়। কিন্ত গত রোববার সেই সি-ট্রাকের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার পর থেকেই যাত্রী পারাপার বন্ধ আছে।

ফেরির ইজারাদার জাহিদুল ইসলাম উজ্জল বলেন, ১২ আগষ্ট জামথল ও কালিতলা ঘাটের মধ্যে সি-ট্রাকে প্রতিদিন একবার করে যাত্রী পারাপার শুরু হয়। গত রোববার যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ার পর যমুনার মাঝ নদীতে সি-ট্রাকের ইঞ্জিন বিকল হয়। পরে উদ্ধারকারি ফেরি ডেকে সি-ট্রাকটি ঘাটে নেওয়া হয়। ইঞ্জিন মেরামত করতে বিআইডব্লিউটিসি এ নারায়নগঞ্জ-ডাকইয়ার্ড থেকে ম্যাকানিক পাঠিয়েছে। তবে মেরামত করতে আরও দুদিন সময় লাগবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ‘শহীদ আবদুর রউফ সেরনিয়াবাত’ নামে সি-ট্রাক চলাচলের মধ্য দিয়ে কালিতলা-জামথল নৌপথে যমুনা নদীতে সি-ট্রাক চলাচল শুরু হয়। ১২ আগষ্ট সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের জামথল ঘাটে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সি ট্রাক চলাচলের উদ্বোধন করেন। এতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও জামালপুর-৩ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বগুড়া-১ আসনের সাংসদ সাহাদারা মান্নান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদিকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পরপরই যাত্রী নিয়ে ‘শহীদ আবদুর রউফ সেরনিয়াবাত’ নামে সি-ট্রাকটি যাত্রী পারাপার শুরু করে। সি-ট্রাক সার্ভিস বন্ধ হওয়ায় দুই পাড়ের মানুষ আশাহত হয়েছেন। চালু হতে না হতেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা নানা ধরনের মর্মাহত মন্তব্য করছেন।

তবে সি-ট্রাক টি চালু হওয়ার পর হতে বগুড়া এবং জামালপুরের আশেপাশের জেলাগুলো হতে দলে দলে লোকজন প্রতিনিয়ত আসছেন একনজর দেখার জন্য। তারা বিকল সি-ট্রাকে উঠে ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তাদের মাঝে একজনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি সাঈদ। আমি এবং আমার ৬ জন সহপাঠী সহ রংপুর থেকে এখানে এসেছিলাম সি-ট্রাকে ভ্রমণ করতে। এসে জানতে পারলাম কয়েকদিন ধরে সি-ট্রাক বন্ধ রয়েছে।

এদিকে সি-ট্রাক সার্ভিস বন্ধ হওয়ায় এই নৌ রুটে খেয়া নৌকা, ভাড়া নৌকা এবং রিজার্ভ নৌকাগুলোতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে গেছে। খেয়া নৌকাতে ১ শত এর বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলে পরিপূর্ণ ছিল নৌকাগুলো। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় প্রতিনিয়ত নৌকাডুবির আশংকা রয়েছে।
ঘাটে দেখা হয় সংগ্রামের সাথে। তিনি জানান, ‘আমি জামালপুরের সরিষাবাড়িতে চাকুরী করি। আমার বাড়ী সারিয়াকান্দির পারতিত পরল গ্রামে। সি-ট্রাক সার্ভিস বন্ধ থাকায় আমার চলাচলের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।’

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া জানিয়েছেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সি-ট্রাক বিকল হওয়ায় যাত্রী পারাপারে সমস্যা হয়েছে।বিআইডব্লিউটিসি ত্রুটি মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আশা করি অতি দ্রুতই ঘাটে পারাপার স্বাভাবিক হবে।’

দৈনিক বগুড়া