বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে বগুড়ায় প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারণার চক্রের দুইজন মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার দু'জন হলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার স্বর্গপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে মেহেরুল ইসলাম (৩৩) ও তালোড়া পৌরসভার রেলকলোনী এলাকার মনোয়ারুল হকের ছেলে কামরুল হাসান (২৯)। শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার সময় নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রোববার সকাল ১১টায় বগুড়া ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২ কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল হাসান গনি এসব তথ্য জানান।
র্যাব-১২ কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল হাসান গনি সংবাদিকদের জানান, গ্রেফতার মেহেরুল একটি বাহিনী চাকরিচ্যুত সদস্য ও কামরুল কম্পিউটার ও আইটি বিষয়ে খুবই দক্ষ৷
তারা বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে যেকোন বাহিনী বা সংস্থার পরিচয় দিয়ে কল করতো। একপর্যায়ে সেই দপ্তরে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগের এসএমএস পাঠাতো।
এরপর সেই প্রার্থীর কাছে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো। প্রতারণার স্বীকার একাধিক ব্যক্তি র্যাবের কাছে অভিযোগ করলে তাদের শনাক্তে কাজ শুরু করে বাহিনীটি।
একপর্যায়ে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তাদের গ্রেফতারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি ল্যাপটপ, ১৮ টি মোবইল, ১৫ টি সিডি, ১টি পিসি, হার্ডডিক্স ২টি, পেনড্রাইভ ৭টি ও ৫৮ টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিথি ডিআইজি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের হবে। যেহেতু তাদের দুপচাঁচিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাই তাদের স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হবে।
দৈনিক বগুড়া