আজ মহা সপ্তমী। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ২৬ আশ্বিন শাস্ত্র মতে আজ মহাসপ্তমী। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই মঙ্গলিক অনুষ্ঠাদি শুরু হয়েছে। সোমবার দিনের শুরুটা দেবী আনন্দময়ীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে। চিন্তা উদ্বেগ দূরে সরিয়ে রেখে হিন্দু পরিবারগুলো আজ গাঁ ভাসবে সপ্তমীর জোয়ারে। মহালয়ার শিউলি বিছনো ভোরে শুরু হয়েছিল উৎসবের আলাপ। মহাসপ্তমীতে সেই সুর সপ্তমে পৌঁছে গেল।
মহাসপ্তমী সপরিবারের মা দুর্গার পিতৃগৃহে প্রবেশের দিন৷ দেবীর নবপত্রিকা স্নান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিয়ে দিনের মুখ্য আচার শুরু হয়েছে৷ এতদিন পরে বাপের বাড়ি ফিরেছে মেয়ে৷ সুতরাং শুচি শুদ্ধ না করে মেয়েকে কি ঘরে তোলা যায়৷ তা না হলে অমঙ্গল হবে যে৷ তাই ভোর হতেই শুরু হয় যায় নবপত্রিকা স্নান৷ একে একে হয়েছে মহাস্নান, অষ্ট কলস স্নান, আবাহন, চক্ষুদান, প্রাণ প্রতিষ্ঠা৷ তারপর পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ৷ ঢাকের আওয়াজ।
বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের চাঁদপুর সার্বজনীন সুত্রধর দুর্গা মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এইবারো আয়োজন করা হয়েছে জমকালো ভাবে। বগুড়া সদর থানাধীন ১০ নং বিটের অন্তর্ভুক্ত এই মন্দিরে চলছে শংখ ও ঢাকের আওয়াজ। সবার মধ্য চলছে উৎসবের আমেজ। বগুড়া জেলার অন্যন্য মন্দিরের মত এই মন্দিরকেও সাজানো হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। গ্রাম পুলিশের টহল আছে নিয়মিত। আজ সন্ধ্যায় মন্দির পরিদর্শন করেন ১০ নং বিট এর সহকারী বিট ইনচার্জ এএসআই আংগুর মিয়া।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ১০ নং বিট পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও মহাস্থান প্রেসক্লাবের সদস্য শাফায়াত সজল, নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রসুল খন্দকার, মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী ললিনী সুত্রধর, সাধারণ সম্পাদক শ্রী দীপক কুমার, সহ সভাপতি শ্রী রতন সুত্রধর, সোহাগ কুমার, শ্রী পরিমল চন্দ্র, সুজন কুমার, গ্রাম পুলিশ ধীরেন চন্দ্র সুত্রধর, উত্তম কুমার, নিমাই চন্দ্র, পুরোহিত শ্রী নারায়ণ চন্দ্র অধিকারী প্রমুখ।
দৈনিক বগুড়া