বগুড়ার শাজাহানপুরে বৈদ্যুতিক তার টানাকে কেন্দ্র করে শাহিন আলম (৫০) নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আহত সাংবাদিক শাহিন আলম উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের পালাহার গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী আকন্দের ছেলে। তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিনের শাজাহানপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের পালাহার গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাবলু (৪৫) ও তার ছোটভাই শহিদুল ইসলাম দুলু (৪০)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে উপজেলার পালাহার গ্রামে রাস্তার পাশে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সাংবাদিক শাহিন আলমের চাচাতো ভাই আব্দুল মান্নানের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য তার টানেন বিদ্যুতকর্মীরা। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে একই গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাবলুর বাড়ির ওপর দিয়ে তার টানা হয়। কিন্তু বাবলু তাতে বাধা দেন।
একপর্যায়ে বৈদ্যুতিক তার কেটে বাড়িতে রেখে দেন বাবলু। পরে পুলিশ গিয়ে ওই তার উদ্ধার করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জের ধরে বাবলু ও তার ছোটভাই শহিদুল ইসলাম দুলু সাংবাদিক শাহিন আলমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাংবাদিক শাহিন আলম আতাইল বাজারে চা পান করতে গেলে বাবলু ও তার ছোটভাই দুলুসহ পাঁচ-ছয়জন অতর্কিত ভাবে হামলা করেন। লাঠিসোটা দিয়ে বেদম মারধরে শাহিন আলমের দুই পায়ের হাঁটুর নিচে থেঁতলে যায় এবং এক হাতের আঙুল ভেঙে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শাহিন আলমকে নন্দিগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক শাহিন আলমের ছোটভাই শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ ওই রাতেই মূল দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক বগুড়া