বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ছক্কা মারলেন গোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান ফজু তালুকদার

ছক্কা মারলেন গোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান ফজু তালুকদার

১৯৯২ সালে বগুড়া শাজাহানপুরে গোহাইলে ইউনিয়নে প্রথম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু। সেই থেকে গোহাইল ব্যাপী জনপ্রিয়তায় টানা ২৯ বছর ধরে তিনি গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন।গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনেও তিনি টানা ছয় বারের মত বিপুল ভোটে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমে তথ্য মতে, গোহাইল ইউনিয়নে আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু নৌকা প্রতীক নিয়ে ১০৫২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি নেতা সঙ্গে ভোটের ব্যবধান ছিল ৬৭০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছে মাত্র ৩৮২১ টি। গোহাইলে ৯টি কেন্দ্রেই নৌকা বিজয় নিয়ে আসেন আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু।

স্থানীয়রা জানান, আমাদের চেয়ারম্যানের সৎ ও ন্যায় পরায়ণ কর্মনিষ্ঠার কারণে বার বার নির্বাচিত। এবারও নৌকা মার্কা নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি ছক্কা মারলেন। তিনি আমাদের এলাকার সুনাম বৃদ্ধি করেছে, এটা গৌরব ও আনন্দের।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের খাদাশ গ্রামের মৃত খয়রাত আলী তালুকদারের ছেলে। তাঁর মায়ের নাম মৃত হামিদা বেগম।

ব্যক্তিগত জীবনে চেয়ারম্যানের এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। তার বড় মেয়ে জামাই সহ লন্ডন প্রবাসী। ছেলে ঢাকা উত্তরায় ডেন্টিশ চিকিৎসার মাধ্যমে মানব সেবার কাজ করছেন।

এলাকার মানুষের কাছে তিনি সৎ ও ন্যায় পরায়ণ চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত। মূলত এ কারণেই তিনি বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বলে দাবি ভোটারদের।

গোহাইল ইউনিয়ন ৬ষ্ঠবারে মত নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু বলেন, আমি চেষ্টা করি সব সময় সুখে-দুঃখে এলাকাবাসীর পাশে থাকি। গোহাইলবাসী ভালোবেসে বার বার ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করছেন। গোহাইল বাসীর আমানত রক্ষা করেছি। এ বিজয় তারই প্রমাণ। আমি ইউনিয়নবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

দৈনিক বগুড়া